পটুয়াখালীতে গ্রেফতার ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রাজীব আহসানসহ ৬ জনকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। তাদেরকে মাদক মামলার আসামী করে বিকেল ৩টার দিকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিট্রেট আদালতে পাঠানো হয়। তার আগেই আদালতের দিনের কার্যক্রম শেষ হয়ে যাওয়ায় ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
মঙ্গলবার তাদের জামিন আবেদনের কথা জানান আইনজীবী। রাজিব আহসান পটুয়াখালীর মাদক মামলা ছাড়াও ঢাকার পল্টন, মতিঝিল ও শাহবাগ থানার ২৩টি নাশকতা মামলার আসামী। রাজীব আহসানকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে পটুয়াখালীর বিভিন্ন থানায় বিক্ষোভ করেছে জেলা ছাত্রদল।
রোববার রাতে তাকে পটুয়াখালীর লেবুখালী ফেরীঘাট থেকে মাদকসহ গ্রেফতারের কথা জানিয়েছে পুলিশ। রাত সাড়ে ১১টার দিকে তাকে বহনকারী প্রাইভেটকারের চালক এবং বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ ছাত্রদলের ৪ নেতাকর্মীকেও গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে ৪৫ পিস ইয়াবা ও এক বোতল মদ উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা হয়েছে।
তবে ছাত্রদলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, রোববার সন্ধ্যায় বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জে তার বাবার কবর জিয়ারত শেষে স্থানীয় কয়েকজন নেতা-কর্মী নিয়ে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা যাচ্ছিলেন রাজিব আহসান। পথে পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করে।
পটুয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ফয়েজ আহমেদ প্রেস ব্রিফিং করে জানান, রাজিব আহসান মাদক নিয়ে আসছেন এমন গোপন সংবাদে পুলিশ প্রাইভেট কার তল্লাশি করে লাগেজের ভিতর থেকে ৪৫ পিস ইয়াবা ও ১ বোতল মদ উদ্ধার করে।
তিনি বলেন, প্রাইভেট কার তল্লাশি করতে গেলে সে নিজেকে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বলে পরিচয় দেয়। আমরা জানতে পারি যে ঢাকাতে তার নামে একাধিক মামলা রয়েছে। তারা মেহেন্দিগঞ্জ থেকে কুয়াকাটা যাচ্ছিলো।
ফয়েজ আহমেদ জানান, রাজিবের সাথে আরো চারজন সহযোগী ছিলো। ড্রাইভারসহ মোট তারা পাঁচজন। এরা হলেন; মো. সালাহউদ্দিন, মো. রফিকুল ইসলাম, সৈয়দ জসিম উদ্দিন ও সাইফুল ইসলাম। তারা সবাই মেহেন্দিগঞ্জের অধিবাসী।
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জেলা ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান মিলন বলেন, রাজিব আহসান সরকারের প্রতিহিংসার শিকার। এটা সাজানো ঘটনা। তাকে অবিলম্বে মুক্তি দেয়া না হলে হরতালসহ কঠোর কর্মসূচির ডাক দেওয়া হবে।
রাজিব আহসানকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে আজ সোমবার বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জেলা ছাত্রদল।