চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

পটুয়াখালীতে সার নিয়ে দুর্নীতি

পটুয়াখালীতে সার নিয়ে দুর্নীতি ও অনিয়মের নানা অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইউনিয়নের গুদামে সার না রেখে কালোবাজারে সার বিক্রির ঘটনা নতুন নয়। সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে সার কেনাটা যেনো অনিবার্য এই এলাকার কৃষকদের কাছে। কৃষক বলছেন পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালি উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নে বিসিআইসি নিয়োগকৃত সার ডিলার দোকানটি খোলাই পাওয়া যায় না।

সার ডিলারের সম্পর্কে বিভিন্ন অভিযোগ জানিয়ে স্থানীয় এক কৃষক বলেন, কইছে সার নাই। হেরপরে একজনরে ধইরা বলসি বাড়ায় দিবোনে। এক হাজার টাকা কয়। তাইলে দিতারে।

অপর আরেক কৃষক বলেন, সাড়ের বস্তা আছে ৮০০ টাকা তারা বেঁচে হাজার ৫০ টাকা। ঔষধের ডেট ওভার হইয়া যায় সেই ঔষধ সাধারণ কৃষকে চেনে না লেখা পড়া জানে না। হেইটা হেগোরে পূর্ণ রেটে সেল দেয়।

অন্যান্য দোকানগুলো থেকে প্রতি বস্তা সার অতিরিক্ত দুই তিনশো টাকা দিয়ে কিনতে বাধ্য হচ্ছেন কৃষক।

একজন সার ডিলার বলেন, এখন তো চাহিদা কম। আগে চাহিদা ছিলো বেশি। পরিমানমতো দিতে পারি নাই।

ইউনিয়ন পর্যায়ের সার ডিলারদের জন্য বরাদ্দকৃত সার ইউনিয়নের গুদামে সংরক্ষণ ও বিতরণ নিশ্চিত করা গেলে সার নিয়ে অনিয়ম দুর্নীতি অনেকটাই কমে আসবে বলে দাবি কৃষি বিভাগের।

পটুয়াখালী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক অশোক কুমার শর্মা বলেন, এখন আমরা তরমুজকে ধরেই সারের চাহিদা দেই। তরমুজের মৌসুমে যেন সারের কোন রকমের ঘাটতি না হয়। তার জন্য আমরা আমাদের সংশ্লিষ্ট উপজেলা কৃষি অফিসারদের এবং নির্বাহি অফিসারদের সতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ জানাই।

আসন্ন রবি মৌসুমে সার সহজপ্রাপ্য করার দাবি জানিয়েছে কৃষক।