‘দেখোরে/ দেখোরে-জগতের বাহার।’ গুপী গাইন বাঘা বাইনের সেই অমর গান সিনেমা প্রেমীরা ভোলেন কি করে! পঞ্চাশ বছরের প্রাক্কালে এখনও অমর, ভূতের রাজার বর পেয়ে বদলে যাওয়া গুপী এবং বাঘার জীবন বদলে যাওয়ার গল্প।
প্রথম অস্কার পাওয়া বাঙ্গালী নির্মাতা সত্যজিৎ রায়ের অসামান্য সৃষ্টি ‘গুপী গাইন বাঘা বাইন’ নতুন আঙ্গিকে ফিরে আসছে তার পঞ্চাশ বছর পূর্তিতে। উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর রচনা আর সত্যজিৎ রায়ের নির্মাণ নস্টালজিয়াকে ফিরে দেখার উদ্যোগ নিয়েছেন অরিজিৎ দত্ত, অগ্নিবেশ দত্ত এবং পূর্ণিমা দত্ত।
যাঁদের প্রযোজনা সংস্থা পূর্ণিমা পিকচার্সের ব্যানারে তৈরি হয়েছিল ‘গুপী গাইন বাঘা বাইন’। জিতেছিল ২টি জাতীয় পুরস্কার এবং চারটি আন্তর্জাতিক পুরস্কার। ট্রিবিউট স্বরূপ নতুন করে পর্দায় ফিরছে গুপী-বাঘা।
তবে এবারের গুপী গাইন বাঘা বাইনের গল্প নতুন করে লেখা হচ্ছে। গল্পটি লিখছেন ‘ওপেনটি বাইস্কোপ’ খ্যাত নির্মাতা-গায়ক অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়। নির্মাণও করছেন তিনি। গায়েন গুপী তপন চট্টোপাধ্যায় এবং ঢোলক বাঘা রবি ঘোষের জায়গায় কারা আসছে সেটি এখনও ঠিক হয়নি। কালজয়ী ছবিটিকে পর্দায় অন্য ভাবে ফিরিয়ে আনাটা বেশ ঝুঁকিরকথাটা মেনেই অনিন্দ্যর জবাব, ‘সে তো অবশ্যই। কিন্তু তুলনা না করে এই ছবিটাকে শ্রদ্ধার্ঘ্য বলা যেতে পারে।’ ছবির গল্প, প্রেক্ষাপট নিয়ে তার সংক্ষিপ্ত মতামত, নতুন গুপী-বাঘা তৈরি হবে সমকালীন প্রেক্ষাপটেই।
আগামী বছর এই সময়েই ছবি মুক্তি পেতে পারে নতুন গুপী গাইন বাঘা বাইন। ১৯৬৯ সালের ৮ মে মুক্তি পেয়েছিল সত্যজিৎ রায় নির্দেশিত ছবি। সেই ছবির প্রযোজক পূর্ণিমা দত্তর গলায় নস্ট্যালজিয়ার সুর। তার মতে, ‘আমাদের কাছে ‘গুপী গাইন বাঘা বাইন’ একটা ফেনোমেনন। ছোটদের ছবি হিসেবে এটাকে দেখা হলেও, আসলে তো তা নয়। কত রকমের স্তর রয়েছে গল্পের মধ্যে। ছবির পঞ্চাশ বছর পূর্তিতে এটা আমাদের ট্রিবিউট বলতে পারেন।’
এদিকে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ও একই বিষয় নিয়ে সিনেমার ঘোষণা দিয়েছেন নিজের প্রযোজনা সংস্থা থেকে। সেখানে গুপী আর বাঘার পরবর্তী প্রজন্মকে নিয়ে গল্প। পরিচালকের নাম এখনও ঘোষণা হয়নি। যদিও অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়কেই প্রস্তাব করেছিলেন প্রসেনজিৎ কিন্তু এর আগেই প্রিয়া এন্টারটেইনমেন্টকে পাকা কথা দিয়ে ফেলেছেন অনিন্দ্য।
দুটো ‘গুপী গাইন বাঘা বাইন’ হলে সমস্যাটা কোথায়? শ্রদ্ধার্ঘ্যটা দ্বিগুণ হয়ে গেল!