ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের পঞ্চম ধাপে সংঘর্ষে কমপক্ষে ৮ জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে কুমিল্লায় এক চেয়ারম্যান প্রার্থী ও চট্টগ্রামে মেম্বার প্রার্থী নিহত হয়েছেন। এছাড়া জামালপুরে নিহত হয়েছেন ৪ জন, নোয়াখালীতে ২ জন। বিচ্ছিন্ন সংঘর্ষে আহত হয়েছেন শতাধিক মানুষ।
কারচুপির অভিযোগ এনে ভোটবর্জনের ঘটনা ঘটেছে মুন্সিগঞ্জ, পাবনা, নাটোর, গাইবান্ধা, জামালপুর, কুমিল্লা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। শেষ খবর পর্যন্ত অনিয়মের অভিযোগে ৪৩টি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে।
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার বাহাদুরাবাদ ইউনিয়নের খুঁটিরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গুলিতে ৩ জনের নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছে পুলিশ। তবে কেউ কেউ নিহতের সংখ্যা ৪ জন বলে দাবি করেছেন।
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের রাজগঞ্জে ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে আইন শৃংখলাবাহিনীর ধাওয়ায় পড়ে গিয়ে সৈয়দ আহমেদ নামে এক ভোটারের মুত্যু হয়েছে। চট্টগ্রামের ইছানগরেও নির্বাচনী সহিংসতায় ১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
এছাড়াও ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মুন্সিরহাট এলাকায় বাসের ধাক্কায় দুই নির্বাচনী কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। আগের চার দফা ইউপি নির্বাচনেও ব্যাপক প্রাণহানীর ঘটনা ঘটে।
কুমিল্লার তিতাসে ভোটকেন্দ্রে সংঘর্ষে ১১ জন গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছে অন্তত অর্ধশতাধিক। এর বাইরে বেশ কিছু কেন্দ্রে বিচ্ছিন্ন কিছু সংঘর্ষও হয়েছে। কেন্দ্র দখল এবং ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের অভিযোগে গাইবান্ধার কামারদহ ইউনিয়নের তারদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে।
ভোট কারচুপির অভিযোগে লক্ষ্মীপুর সদরের চন্দ্রগঞ্জের পাঁচপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ব্যালট পেপারে সিল দেয়ায় আওয়ামী লীগের এক এজেন্টকে একমাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
বরিশালের উজিরপুরের গুঠিয়া ইউনিয়নের বামনা কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করার পাশাপাশি নির্বাচনী দায়িত্ব থেকে ওসিকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্র দখল এবং ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের অভিযোগে গাইবান্ধার কামারদহ ইউনিয়নের তারদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত। গাইবান্ধার পলাশবাড়ির মহাদিপুর ইউনিয়নের বিএনপি প্রার্থী মুকুল আহম্মেদ ভোট বর্জন করেছেন।
দেশের ৭শ’ ১৭টি ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ শুরু হয় সকাল ৮ টায়। একটানা ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এ দফায় ভোট হচ্ছে ৪৫ জেলার ৯৩ উপজেলায়। ভোটার প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ। ভোটকেন্দ্র ৬ হাজার ৪শ’ ৮৪টি। নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় ২ লাখ সদস্য।