ম্যাচ শেষ হতেই সতীর্থরা ঘিরে ধরলেন। দৌড়ে এসে সবার আগে জড়িয়ে ধরলেন সাইফউদ্দিন। পরে একে একে সবাই। দলের সবার পর জিম্বাবুইয়ান ক্রিকেটারদের সঙ্গে সবে মাশরাফীর হাত মেলানো শেষ, হঠাৎ তাকে কাঁধে তুলে নিলেন তামিম। পাশে মুশফিক, রিয়াদ। যেন একটা সুখী পরিবারের শেষ ছবি! সেই ছবিতে সবই ছিল, সঙ্গে একটি অপূর্ণতাও। চারপাণ্ডবের সবাই যখন শ্রদ্ধামাল্য দিতে ব্যস্ত বিদায়ী অধিনায়ককে, দৃশ্যে রইলেন না সাকিব। মাশরাফী যাকে মিস করার কথা বলেই দিলেন।
অধিনায়ক হিসেবে মাশরাফীর শেষ ম্যাচকে স্মরণীয় করে রাখতে সবরকম চেষ্টাই করেছেন সতীর্থরা। বড় উপহার ১২৩ রানের বিশাল এক জয়, যা অধিনায়ক হিসেবে ম্যাশের ৫০তম জয়ের মাইলফলক। আগে জিম্বাবুয়ে বোলারদের ছাতু বানিয়ে জোড়া সেঞ্চুরি এসেছে তামিম ও লিটনের ব্যাটে। ম্যাচ শেষে তামিমের কাঁধে চেপে দর্শকদের কাছ থেকে বিদায় নিয়েছেন ক্যাপ্টেন ফ্যান্টাসটিক। কিছুক্ষণ বাদে সবাই ‘মাশরাফী ২’ জার্সি পরে চমকে দেন প্রিয় অধিনায়ককে। উপহারে ছিল দলের সবার স্বাক্ষরিত জাতীয় দলের একটি জার্সি।
সতীর্থদের থেকে এমন আবেগঘন অভিনন্দন আর শুভেচ্ছা-শুভ কামনা যে মন ছুঁয়েছে মাশরাফীর, সেটা তার কথা বলার সময়ই টের পাওয়া গেছে। সতীর্থদের ভালোবাসার প্রতিদান দিতে গিয়ে বলেছেন, ‘এটা দারুণ সম্মানের। আমার ছেলেরা ছিল অসাধারণ। তারা দলের জন্য সমস্ত কিছুই দিয়েছে। তাদেরকে আমার ধন্যবাদ।’
এরপরই এলো সেই অপূর্ণতার বিষয়টি। দলের সবাই যখন আশেপাশে, বিশেষ একজনকে তখনও খুব মনে পড়ল মাশরাফীর। তিনি দীর্ঘ ক্যারিয়ারের নানা চড়াই-উতরাইয়ের সঙ্গী সাকিব আল হাসান। নিষেধাজ্ঞার কারণে বাইরে থাকা এ অলরাউন্ডার সিলেটের মাঠে থাকলে যে শেষ দৃশ্যটা আরও পূর্ণতা পেত সেটাই যেন মনে করিয়ে দিলেন ম্যাশ।
‘সাকিবকে ধন্যবাদ। সে থাকলে দৃশ্যটা অন্যরকম হতে পারতো, এরপরও সবাইকে ধন্যবাদ!’