চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

পকেট ভারী করার জন্য দলে অনুপ্রবেশ ঘটাবেন না: ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশের বিষয়ে সতর্ক করে দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন: নিজেদের পকেট ভারী করার জন্য, নিজেদের সমর্থক বাড়ানোর জন্য দলে অনুপ্রবেশ করাবেন না। দুষ্ট গরুর থেকে শূন্য গোয়াল ভালো।

বুধবার ধানমন্ডির একটি কনভেনশন সেন্টারে ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

আওয়ামী লীগকে নতুন করে সাজানো হচ্ছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন: আমরা আওয়ামী লীগকে একটি নতুন মডেলে সাজাতে যাচ্ছি। নেত্রী আমাকে স্পষ্ট বলে দিয়েছেন, কোনো বিতর্কিত ব্যক্তিকে দলে স্থান দেওয়া যাবে না। যদি কোনো বিতর্কিত ব্যক্তি দলে অনুপ্রবেশ করে থাকে, তাহলে আপনারা তাকে দল থেকে বের করে দিন। আওয়ামী লীগের লোকের অভাব নেই। বিতর্কিত কোনো ব্যক্তির দলে দরকার নেই।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতির জনপ্রিয়তার বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন: শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। ’৭৫ পরবর্তীকালে তিনি এখন পর্যন্ত সবথেকে জনপ্রিয় নেতা। তিনি শুদ্ধি অভিযান পরিচালনা করে দেশের সর্বস্তরের মানুষের মন জয় করেছেন। বিএনপি এ নিয়ে বিষোদগার করছে, কারণ শেখ হাসিনার শুদ্ধি অভিযান তাদের আন্দোলনের ইস্যু খুঁজে পাওয়ার পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিরোধী দলের রাজনীতির ওপর সংকটের কালো ছায়া ফেলে দিয়েছে। এটি তাদের গাত্রদাহের কারণ।

তিনি আরও বলেন: তারা জানে এখন আন্দোলন করার মতো কোনো ইস্যু তারা পাবে না। হালে পানি পাবে না, জনগণ তাদের ডাকে সাড়া দেবে না। তাই তারা এখন ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছে। আবরার হত্যাকাণ্ডের মধ্যেও তারা ইস্যু খোঁজার চেষ্টা করেছে। তাদের সে অপচেষ্টাও মাঠে মারা গেছে। এখন তারা বলছে ঐক্যফ্রন্ট এবং বিএনপি নেতারা বেগম জিয়ার সঙ্গে দেখা করলেই তারা চাঙ্গা হয়ে যাবে! আমি একটা জিনিস বুঝলাম না, যারা তাদের নেত্রীর কারাবরণের পর পাঁচ হাজার লোক নিয়ে একটা আন্দোলন করতে পারল না, কামাল হোসেন সাহেব দেখা করলেই কীভাবে চাঙ্গা হয়ে যাবে! এটা হাস্যকর।

একাদশ নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক জোট ১৪ দলের অন্যতম শরিক বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের সাম্প্রতিক বক্তব্যের সমালোচনা এ সময় করে বলেন: রাশেদ খান মেনন তার বক্তব্য থেকে অলরেডি ইউটার্ন নিয়েছেন। তিনি বলেছেন তার বক্তব্য খণ্ডিত আকারে গণমাধ্যমে এসেছে। তার দলে তার অবস্থান এবং চলমান পরিস্থিতিতে তার অবস্থান কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তা বলা আমার সমীচীন নয়। ১৪ দলের সঙ্গেও আমার কথা হয়েছে, তারা আমাকে বলেছেন রাশেদ খান মেননের বিষয়ে তারা আলোচনা করেছেন। আরো আলাপ-আলোচনা করে তার বিষয়ে তারা সিদ্ধান্ত নেবেন।

একজন ব্যক্তির (মেনন) জন্য একটা অ্যালায়েন্সে ভাঙন হতে পারে না বলেও এসময় মন্তব্য করেন তিনি।

এছাড়া এ সময় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা মো. আবু কাওসারকে তার পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার তথ্য জানান আওয়ামী লীগের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সাংগঠনিক এ নেতা।