ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন: পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়িতে অগ্নিসংযোগকারীদের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা সবাই বিএনপি এবং দলটির অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী।
তিনি বলেন: আমরা মামলা নিয়েছি। তাদের গ্রেপ্তারে পুলিশ ইতোমধ্যেই তৎপরতা শুরু করে দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ডিএমপি সদর দফতরে সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, পুলিশকে উত্তেজিত করে একটি দুর্ঘটনা ঘটিয়ে নির্বাচনের পরিবেশ ভণ্ডুল ও অনিশ্চিত পরিবেশ তৈরি করা এবং ভীতিকর পরিবেশ তৈরি করতেই পুলিশের ওপর অতর্কিত হামলা করা হয়েছে। ঘটনা পর্যালোচনায় আমাদের বিশ্বাস এবং সেই ধরনের প্রমাণাদি আমাদের হাতে এসেছে।
ডিএমপি কমিশনার বলেন: আমাদের সম্পূর্ণ নতুন দুইটি গাড়ি সম্পূর্ণ পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে একটি এসি মতিঝিলের ডাবল কেবিন পিকআপ, আরেকটি এসি মতিঝিলের পেট্রোল হাইওয়ে কার। পরে আমাদের একটি এপিসি (আমার্ড ক্যারিয়ার্ড পার্সোনাল) গাড়িতে আগুন দেয়া হয়েছিল কিন্তু চালকের বুদ্ধিমত্তার কারণে সেই গাড়ির আগুন নেভাতে আমরা সক্ষম হই।
আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন: যিনি আগুন দিয়েছেন, গাড়ির উপর দাঁড়িয়ে যারা তাণ্ডব চালিয়েছে, বুকের কাপড় খুলে লাঠি দিয়ে যে তাণ্ডব নৃত্য তারা দেখিয়েছে তাদেরকে পরিষ্কার ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে। ইতোমধ্যে আমরা আমাদের বিভিন্ন সোর্সের মাধ্যমে তাদের অনেকের পরিচয় জেনেছি শনাক্ত করেছি। তারা সকলেই বিএনপি এবং তাদের অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মী।
তিনি বলেন: বিভিন্ন মিডিয়ার ফুটেজে পরিষ্কারভাবে এসেছে পুলিশকে কিভাবে পেছন থেকে মারতে মারতে ধাওয়া করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এবং সে কোন মতে একটি ব্যাংকে পালিয়ে স্থানীয় জনগণের সহায়তায় জীবন রক্ষা করে। আমাদের অফিসারসহ ২৩ জন পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছে যারা এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
ডিএমপি কমিশনার বলেন: বিভিন্ন লাঠি ও বাঁশ দিয়ে পুলিশদের পেটানো হয়েছে, ইটপাটকেল ছুড়ে পেটানো হয়েছে অনেককে পেছন থেকে পেটানো হয়েছে। এটি পুলিশকে শুধু মারা বা হামলা করা না বড় ধরনের কোন নাশকতার পূর্ব পরিকল্পনা বলে মনে হয়েছে।
ঘটনার পর্যালোচনায় ইতোমধ্যে আমরা মামলা গ্রহণ করা হয়েছে জানিয়ে কমিশনার বলেন: আমরা ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ৬০ জনকে চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করেছি এবং বাকি যারা রয়েছে তাদের বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া প্রিন্ট মিডিয়া ও সোশ্যাল মিডিয়ার ভিডিও ফুটেজ দেখে শনাক্ত করা অব্যাহত রেখেছি।
তিনি বলেন: নিরপেক্ষভাবে স্বচ্ছভাবে এই মামলাটি তদন্ত করার জন্য ইতিমধ্যে আমাদের গোয়েন্দা পুলিশ এবং মতিঝিল ক্রাইম ডিভিশনের অফিসারদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে, তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।