ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত ঘোষণার পর দাফনের আগে নড়ে ওঠা নবজাতক মীম আর বেঁচে নেই।
ঢাকা শিশু হাসপাতালের সিনিয়র জনসংযোগ কর্মকর্তা আব্দুল হাকিম চ্যানেল আই অনলাইনকে সোমবার জানিয়েছিলেন, হাসপাতালের ডাক্তাররা শিশুটিকে দেখেছে। মীম সুস্থ হয়ে উঠবে বলেও আশা প্রকাশ করেছিলেন তিনি। লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় রাত দুইটার দিকে অবস্থার অবনতি ঘটে।
লাইফ সাপোর্ট খুলে এখন স্বজনদের কাছে মৃতদেহ হস্তান্তর প্রক্রিয়া চলছে।
কিন্তু সব আশা মিথ্যা করে মারা গেল মীম।
শরিফুল ইসলাম নামে ওই শিশুর এক স্বজন জানান, সোমবার সকাল ৮টায় তার বোন কন্যাশিশু প্রসব করেন। এর কিছু পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল থেকে শিশুটিকে মৃত ঘোষণার করা হয়। পরে তারা লাশটি নিয়ে আজিমপুর কবরস্থানে দাফনের জন্য নিয়ে যান।
ঢামেক থেকে মৃত ঘোষণা করা ওই নবজাতককে সোমবার সকাল ১০টার দিকে কবর দেয়ার জন্য আজিমপুর কবরস্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। দাফনের আগে গোসল করানোর উদ্দেশ্যে মৃতদেহ কবরস্থানের গোসল ঘরে নিয়ে গায়ে পানি দেয়ার সময় হঠাৎ শিশুটি নড়েচড়ে ওঠে। পরে আবার পানি দিলে সে চিৎকার করে কান্না শুরু করে।
আজিমপুর কবরস্থানের মোহরার হাফিজুল ইসলাম ঘটনাটি নিশ্চিত করেন।
মৃত ঘোষিত মেয়ে শিশুটি জীবিত উপলব্ধি করে তাকে নিয়ে স্বজনরা দ্রুত কবরস্থান থেকে হাসপাতালের উদ্দেশ্য রওনা দেন। প্রাথমিক অবস্থায় শিশুটিকে আজিমপুর মাতৃসদন কেন্দ্রে চিকিৎসা দেয়া হয়। সেখান থেকে পরে ঢাকা শিশু হাসপাতালে নেয়া হয় মীমকে। বাচ্চাটি সেখানে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন ছিল।