ন্যাটোর নতুন অবস্থান ও বক্তব্য নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে চীন। যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে সামরিক এ জোটের সঙ্গে চীনের তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস মিলছে ব্রাসেলসে জোটের শীর্ষ সম্মেলনে দেওয়া বিবৃতির পর।
ন্যাটোর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া ইউরোপীয় ইউনিয়নে চীনের মিশন থেকে বলা হয়, ‘আমাদের প্রতিরক্ষা ও সামরিক আধুনিকায়নের প্রচেষ্টা ন্যায়সঙ্গত, যুক্তিসঙ্গত, উন্মুক্ত এবং স্বচ্ছ।’
চীনের কমিউনিস্ট পার্টির মুখপাত্র গ্লোবাল টাইমস পত্রিকায় ন্যাটোর কঠোর সমালোচনা করে বলা হয়, তাদের শান্তিপূর্ণ উন্নয়ন এবং অগ্রযাত্রার বিরুদ্ধে ‘মিথ্যে অপপ্রচার’ চালানো হচ্ছে।
‘‘ন্যাটোর উচিত হবে চীনের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার থেকে বিরত থাকা।’’
ব্রাসেলসের ওই সম্মেলন থেকে ন্যাটো চীনের আচরণকে জোটের জন্য এক ‘ধারাবাহিক চ্যালেঞ্জ’ হিসেবে বর্ণনা করার পরই এমন প্রতিক্রিয়া জানাল বেইজিং।
বিশ্বে চীনের ক্রমবর্ধমান উত্থান ঠেকাতে সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে আরও ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানানো হয় ব্রাসেলস সম্মেলন থেকে।
জোট প্রধান জেনস স্টেলটেনবার্গ বলেন, চীনের বিরুদ্ধে ন্যাটোকে আরও শক্তিশালী নীতি ও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
ওই সম্মেলনে অংশ নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, চীন ও রাশিয়ার সৃষ্ট নতুন নতুন চ্যালেঞ্জের বিরুদ্ধে অবশ্যই রুখে দাঁড়াতে হবে ন্যাটোকে।
যদিও প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে এই সামরিক জোটের ইতিহাসে চীনের বিরুদ্ধে এতো কঠোর এবং বিরোধপূর্ণ অবস্থান গ্রহণের নজির নেই। মূলত তাদের প্রতিপক্ষ হিসেবে দেখা হয় রাশিয়াকে। কিন্তু এই প্রথম তারা চীনকেও সরাসরি প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করলো।