ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মাধ্যমে নৌকাকে বিজয়ী করতে পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা প্রতিনিয়ত গোপন বৈঠক করছে অভিযোগ করে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিএনপি।
গত মঙ্গলবার রাতে ঢাকা অফিসার্স ক্লাবের চার তলার পিছনের কনফারেন্স রুমে এক গোপন বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে বলেও অভিযোগ করে দলটি।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন: প্রশাসন এবং পুলিশের বিতর্কিত ও দলবাজ কর্মকর্তারা জনসমর্থনহীন আওয়ামী লীগকে ফের ক্ষমতায় বসানোর জন্য নানা চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে।
গোপন বৈঠকের অভিযোগ তুলে রিজভী বলেন: অফিসার্স ক্লাবের ওই গোপন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর সচিব সাজ্জাদুল হাসান, জনপ্রশাসন সচিব ফয়েজ আহমদ, নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালউদ্দীন আহমদ, পানিসম্পদ সচিব (প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রাক্তন ডিজি) কবির বিন আনোয়ার, বেসামরিক বিমান পরিবহন সচিব মহিবুল হক, ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার ও মহানগরী রিটার্নিং অফিসার) সদস্য সচিব আলী আজম, প্রধানমন্ত্রীর এপিএস-১ (বিচারক কাজী গোলাম রসুলের মেয়ে) কাজী নিশাত রসুল।
পুলিশের পক্ষ থেকে র্যাব, ডিএমপি ও কাউন্টার টেররিজমের কর্মকর্তারা এ গোপন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এমন অভিযোগ করেন রিজভী।
পুলিশের একটি সূত্রের বরাত দিয়ে রিজভী বলেন, ডিআইজি হাবিব জানায়, পুলিশ সূত্রের খবর অনুযায়ী ৩৩ টি সিট নৌকার কনফার্ম আছে এবং ৬০-৬৫ টিতে কনটেস্ট হবে, বাকী আর কোনো সম্ভাবনা নেই।
যশোর জেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি ও বিএনপি’র মনোনয়ন প্রত্যাশী আবু বকর আবুকে তুলে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে বুড়িগঙ্গায় ভাসিয়ে দেয়ার মধ্য দিয়ে এর আলামত শুরু হয়েছে জানান রিজভী।