চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ১২ মামলার আসামি নিহত

নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার কেশারপাড় ইউনিয়নে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে আনোয়ার হোসেন ইউসুফ নিহত হয়েছেন। ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।   

নোয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আলমগীর হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সোমবার রাত পৌনে ৩টার দিকে বীরকোর্ট এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। নিহত আনোয়ার হোসেন ইউসুফ বেগমগঞ্জ উপজেলার পূর্ব লাউতলী গ্রামের আবু তাহের প্রকাশ ওলি উল্যার ছেলে।

পুলিশের দাবি, নিহত ইউছুফ আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য ও তার নামে বিভিন্ন থানায় ১২টি মামলা রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র, গুলি ও ডাকাতির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।

আহত পুলিশ সদস্যরা হচ্ছেন, উপ-পরিদর্শক জসিম উদ্দিন, সহকারি উপ-পরিদর্শক লোকেন মহাজন ও কনেস্টবল আব্দুর রহমান। আহত পুলিশ সদস্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বেগমগঞ্জ উপজেলার জমিদারহাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে ইউসুফকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তীতে তাকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এসময় সে ডাকাতি, সিঁধেল চুরি, অস্ত্র ও রাতে তার দল ডাকাতি করবে বলে স্বীকার করে।

তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাত পৌনে ৩টার দিকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দলের সহযোগিতায় বীরকোর্ট এলাকায় অভিযান চালায় সেনবাগ থানা পুলিশ। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাত ইউসুফের সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছুঁড়লে আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছুঁড়লে উভয় পক্ষের মধ্যে বন্দুক যুদ্ধের ঘটনা ঘটে। প্রায় পাঁচ মিনিট ধরে চলে এ বন্দুকযুদ্ধ। এসময় ইউসুফ পুলিশের কাছ থেকে দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা করলে তার অজ্ঞাত সহযোগীর গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয় সে। পরে তার সহযোগীরা পালিয়ে গেলে ইউসুফকে দ্রুত উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মঙ্গলবার সকালে নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

নোয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আলমগীর হোসেন জানান, নিহত ইউসুফ আন্তঃজেলা ডাকাত দলের একজন সক্রিয় সদস্য। তার বিরুদ্ধে জেলার বিভিন্ন থানায় ডাকাতির ঘটনায় ৭টি, ডাকাতি প্রস্তুতির ঘটনায় ৩টি, সিঁধেল চুরির ঘটনায় ১টি ও অস্ত্র আইনে ১টি মামলা রয়েছে।

ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, তিন রাউন্ড পিস্তলের গুলি, চারটি তাজা কার্টুজ, সাত রাউন্ড গুলির খোসা, তিনটি রামদা, একটি টর্চলাইট ও একটি গ্যাস লাইটার উদ্ধার করা হয়।