নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলার চাষির হাট ইউনিয়নের পোরকরা গ্রামে হিজবুত
তাওহিদের কর্মীদের সাথে মসজিদ নির্মাণকে কেন্দ্র করে গ্রামবাসীর ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
এই সংঘর্ষে ইব্রাহিম খান রুবেল ও মোঃ সোলায়মান নামে ২ হিজবুত সমর্থক নিহত হয়। সহিংসতায় গুলিবিদ্ধ একজন পরে মারা গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছে অন্তত ১৮ ব্যক্তি।
থমথমে অবস্থার মধ্যে গ্রাম ঘিরে রেখেছে পুলিশ এবং বিজিবি। হিজবুত তাওহিদের দাবি, জামায়াত-হেফাজতের ষড়যন্ত্রে তাদের সদস্যদের বাড়িতে সন্ত্রাসীদের হামলায় ১০ জন নিহত হয়েছে।
সংঘর্ষে চাষির হাট বাজারে অবস্থিত হিজবুত তাওহিদের কার্যালয় ভাংচুর ও একটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষুদ্ধ গ্রামবাসী। পরে পুলিশ সুপার মোঃ ইলিয়াছ শরীফের নেতৃত্বে দাঙ্গা পুলিশ প্রায় ৩ ঘন্টা পর পরিস্থিতি আংশিক নিয়ন্ত্রনে আনেন।
পুলিশ জানায়, আজ সোমবার সকালে ১১টায় হিজবুত সমর্থকরা মসজিদ নির্মাণের জন্য প্রস্তুতি নিলে এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে এসে বাধা দেয়। এ সময় উভয় পক্ষের কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা পরবর্তিতে সংঘর্ষের রূপ নেয়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে ফাঁকা গুলি ও লাঠিচার্জ করে প্রায় ৩ ঘন্টা পর পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক করে।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানিয়েছে, গত কয়েক বছর থেকে পোরকলা গ্রামে নিষিদ্ধ সংগঠন হিজবুত তাওহিদের কর্মীদের সাথে স্থানীয় মুসল্লিদের নানা বিষয়ে বিরোধ চলে আসছিলো।
সোমবার তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে স্মারকলিপি দিতে যাওয়ার সময় চাষির হাটে হিজবুত কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সেসময় বাড়িঘরে আগুন দেওয়া হয়, ব্যাপক ভাংচুরও চলে।
মুসল্লিদের অভিযোগ, ‘নেতা হুমায়ুন খান পন্নীর অনুসারী হিজবুত তাওহিদ কর্মীরা এলাকায় জঙ্গিবাদী নানা রকম কর্মকান্ড চালিয়ে আসছে। দুই বছর আগে স্থানীয় লোকজনের বাধার মুখে তারা এলাকা ছাড়া হয়’।
‘তবে গত ২০ ফেব্রুয়ারি চাষির হাটে সমাবেশ করে তারা উসকানিমূলক বক্তব্য দেয়। এতে লোকজন আরো ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠে। গত কয়েক দিন থেকে সংগঠনের বহিরাগতদের আনাগোনা বাড়ে।’