সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের উপন্যাস ‘গাঙচিল’ নিয়ে ছবি বানাচ্ছেন ‘এক কাপ চা’ খ্যাত নির্মাতা নঈম ইমতিয়াজ নেয়ামূল। ফেরদৌস-পূর্ণিমার পর ইচ্ছেমতো এবং নুজহাত ফিল্মসের প্রযোজনায় নেয়ামূলের ‘গাঙচিল’ ছবিতে কাজ করতে যাচ্ছেন চিত্রনায়ক আনিসুর রহমান মিলন। নির্মাতা নেয়ামূল এবং নায়ক মিলন দুজনেই চ্যানেল আই অনলাইনকে এ খবর জানিয়েছেন।
ছোটপর্দায় নানামাত্রিক চরিত্র দিয়ে জনপ্রিয়তা অর্জনের পর ‘দেহরক্ষী’, ‘অনেক সাধের ময়না’, ‘লালচর’, ‘রাজনীতি’ ছবিগুলো অভিনয় করে বড়পর্দাতেও নিজের জাত চিনিয়েছেন চিত্রনায়ক মিলন। তার নতুন ছবি ‘গাঙচিল’ নিয়ে বললেন, ‘এখানে আমার চরিত্রের নাম ইকবাল। পুরোপুরি সামাজিক ও রাজনৈতিক গল্পের ছবি। পরিচালকের গল্পের উপস্থাপনের ভাবনাটা একেবারে অন্যরকম মনে হয়েছে।’
‘গাঙচিল’ ছবিতে একজন সাংবাদিকের (সাগর) চরিত্রে দেখা যাবে চিত্রনায়ক ফেরদৌসকে। আর পূর্ণিমা অভিনয় করবেন (মোহনা) এনজিও কর্মী হিসেবে। নঈম ইমতিয়াজ নেয়ামূলের ‘জ্যাম’ ছবির পর ‘গাঙচিল’-এও একসঙ্গে কাজ করছেন ফেরদৌস-পূর্ণিমা। আরও থাকবেন তারিক আনাম খান। নির্মাতা নেয়ামূল জানালেন, গত আগস্ট মাসে ফেরদোউস-পূর্ণিমা ‘গাঙচিল’-এ চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন। এবার হলেন আনিসুর রহমান মিলন।
‘গাঙচিল’ ছবির চুক্তিস্বাক্ষর অনুষ্ঠানে পরিচালক নেয়ামূল, পূর্ণিমা ও ফেরদৌস।পরিচালক নঈম ইমতিয়াজ নেয়ামূল বলেন, ‘তারিক আনাম খান এলাকার চেয়ারম্যান। তার কাজকর্মে অতিষ্ঠ এলাকায় মানুষ। ওই এলাকার একজন যুবক আনিসুর রহমান মিলন। মানুষের কল্যাণে সে সবসময় নিবেদিত। স্থানীয়দের কাছে তার গ্রহণযোগ্যতা অনেক। ওই এলাকায় এনজিও কর্মী হিসেবে নিযুক্ত হন পূর্ণিমা। সেখানে বিভিন্ন খবর সংগ্রহের জন্য যান ফেরদৌস। একদিকে তারিক আনাম খান ও মিলনের রাজনীতি, অন্যদিকে ফেরদৌস-পূর্ণিমা কর্মজীবন ও কেমিস্ট্রি! জমে ওঠে গল্প।
তিনি বলেন, ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে নোয়াখালী জেলার গাঙচিল এলাকায় শুটিং শুরু হবে। ৬ থেকে ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শুটিং করবো। আগামীকাল রাতে শুটিংয়ের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করবে গাঙচিল ইউনিট। আনিসুর রহমান মিলনের কাজ শুরু হবে ৯ তারিখ হবে। ১২ তারিখে প্রথম লট শেষ করে মার্চের শুরু থেকে টানা শুটিংয়ে গাঙচিল ছবির কাজ শেষ হবে।