ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন: নেশা, জুয়া, মাদক ও সন্ত্রাস থেকে উত্তরণের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার হলো সামাজিক-সাংস্কৃতিক উৎসব।
শুক্রবার রাজধানীর বনানীতে সিটি কর্পোরেশন মাঠে গারো সম্প্রদায় আয়োজিত ঢাকা ওয়ানগালা ২০১৯ এ প্রধান অতিথি ছিলেন আতিকুল ইসলাম।
এসময় তিনি বলেন: বাংলাদেশে প্রায় ২৭টি ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠী আছে, যাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য আমাদেরকে জাতি হিসেবে সমৃদ্ধ করে।
মেয়র বলেন: আপনারা বাংলাদেশের অহংকার, আমাদের বৈচিত্র্যময় ইতিহাস, ঐতিহ্যের অন্যতম ধারক, বাহক। এই বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ এবং গারো সম্প্রদায় আয়োজিত এই ওয়ানগালা উৎসবটিও একটি কৃষিভিত্তিক সামাজিক অনুষ্ঠান।
‘শস্য উৎসর্গ করার এই ধন্যবাদ অনুষ্ঠানের নাম ওয়ানগালা যেটি বাঙালির নবান্ন উৎসবের মতোই, বিশ্বের বহু দেশে নানান নামে এই শস্যের জন্য প্রভুর প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন অনুষ্ঠান পালন করে থাকে। গারো সম্প্রদায়সহ সকল নৃগোষ্ঠীর যেকোন প্রয়োজনে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন সবসময় পাশে থাকবে।’
তিনি বলেন: গারো সম্প্রদায়ের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর নিজেরা এত সুন্দর আয়োজন সত্যিই প্রশংসার দাবীদার।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে আয়োজক কমিটিকে ৫ লক্ষ টাকা অনুদানের ঘোষণা দেন মেয়র। এসময় তিনি ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সার্বিক সহযোগিতায় ঢাকা উত্তরের একটি সড়ক গারো সম্প্রদায়সহ সকল ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সদস্যদেরকে নিয়ে সমন্বিতভাবে সাজিয়ে দেবার অনুরোধ করেন।
তিনি সকল ধর্মাবলম্বীদের বিভিন্ন ধর্মীয় আচার ও উৎসবে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনকে সবসময় পাশে পাবে বলে আশ্বস্ত করেন।
সবশেষে মেয়ের আতিকুল ইসলাম অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলকে এই ঢাকা শহরকে পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য প্রতিজ্ঞা করার আহ্বান জানিয়ে তার বক্তব্য শেষ করেন।
ঢাকা ওয়ানগালা ২০১৯ এর ‘সম্মানীত নকমা’ শুভজিৎ সাংমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ-১ আসনের সংসদ সদস্য জুয়েল আরেং এমপি, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের এমএলএ বিপ্লব কুমার ঘোষ, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর মো: জাকির হোসেন বাবুল, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং, খ্রিস্টান এসোসিয়েশন বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক উইলিয়াম প্রলয় সমাদ্দারসহ ঢাকা ওয়ানগালা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দ।