নেপালে ভূমিকম্পের পর সেখানে নিখোঁজ সকল বাংলাদেশীকে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে আন্তর্জাতিক সহায়তার পরও উদ্ধার তৎপরতায় নেপালীরা হতাশ। এখন পর্যন্ত অনেক জায়গায় উদ্ধারকারীদল পৌঁছাতেই পারেনি।
নেপালে তিনদিনের রাষ্ট্রীয় শোকের আজ দ্বিতীয় দিন চলছে।
খোলা আকাশের নিচে থাকতে বাধ্বায হওয়া নেপালীরা স্বজনের খোঁজে দিশেহারা। শনিবারের ভূমিকম্পের পর প্রায় প্রতিদিনই হচ্ছে এক বা একাধিক ভূ কম্পন। এ কারণে গত কয়েক দিনে হেলে পড়েছে আরো অনেক ভবন। যাদের বাড়ি টিকে আছে তারাও অবস্থান করছেন তাঁবুতে বা খোলা আকাশের নিচে।
বাংলাদেশ দূতাবাস বলেছে, শুরুর দিকে নিখোঁজের তালিকায় যে বাংলাদেশিরা ছিলন তাদের সবাইকে উদ্ধার করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত আর নতুন করে কোনো নিখোঁজের খবর পাওয়া যায়নি।
কাঠমান্ডুতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাশিফি বিনতে শামস বলেন, নেপালে ভয়াবহ ভূমিকস্প হয়েছে। এর প্রভাব এখন বোঝা না গেলেও কয়েকমাস পরই অবস্থা প্রকট আকার ধারণ করবে। আমাদের অনেক সুযোগ আছে তাদের সাহায্য করার।
কাঠমান্ডুর সুন্ধরায় বাংলাদেশ দূতাবাসের মধ্যে অবস্থান করছে দেশে না ফেরা একাধিক বাংলাদেশী।
নেপালে উদ্ধার তৎপরতায় বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী ছাড়াও যোগ দিয়েছে সরকারি বেসরকারি অনেক সংস্থা।
দুর্যোগ মোকাবেলায় বাংলাদেশ, চীন, ভারত, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ থেকে ত্রাণ সামগ্রী পাঠানো হচ্ছে।
বাংলাদেশ বিভিন্ন স্পটে বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে ভূমিকম্পে আহতদের চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চিকিৎসক ছাড়াও স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে একাধিক চিকিৎসক ও স্বেচ্ছাসেবক নিজ উদ্যোগে নেপালে এসেছেন দুস্থদের পাশে দাঁড়াতে।
কাঠমান্ডুতে পাহাড়ের ভাঁজে ভাঁজে বাড়ি। আর দূর্ঘটনা ঘটেছে কাঠমান্ডুর প্রতিটি গলিতে।
ভূমিকম্পের পরপরই সহায়তা দিতে বাংলাদেশের ৩৪ সদস্যের একটি দল নেপাল যায়। ত্রাণসামগ্রী, ওষুধ, শুকনো খাবার ছাড়াও ৬টি চিকিৎসকদলও পাঠানো হয় সেখানে।