জাতীয় পতাকা নিয়ে হাতে হাত রেখে, মোমবাতি জ্বালিয়ে শ্রদ্ধার্ঘে প্রার্থনায় ইতিহাসের ভয়াবহতম ভূমিকম্পে নিহতদের স্মরণ করলো নেপাল। এক মাস এক দিন আগে ২৫ এপ্রিল ৭ দশমিক ৯ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল হিমালয় কন্যা। আতঙ্কিত মানুষ কিছু বুঝে ওঠার আগেই চাপা পড়েছিল ধ্বংসস্তুপের নিচে। রেহাই পাননি এভারেস্টেও কাছের বেজ ক্যাম্পগুলোর পর্বতারোহিরাও, বরফ চাপা পড়ে শ্বেতমৃত্যুকে বরণ করে নিতে হয়েছেল হতভাগ্যদের।
২৫ এপ্রিলের সেই ভয়াল দিনটিতে নিহত প্রায় ৮ হাজার ৭’শ মানুষের জন্য শোক-প্রার্থনার পাশাপাশি নবউদ্যমে উঠে দাঁড়ানোর প্রত্যয়ে কাঠমাণ্ডুর রাস্তায় নেমেছিলেন শত শত নেপালি।
ভূমিকম্পে ধ্বসে পড়া ঐতিহাসিক ধারাহারা টাওয়ার ঘিরে এক হয়ে দুর্যোগ মোকাবেলা আর দেশগড়ার মানববন্ধনে অংশ নিয়েছিলেন কয়েকশ নেপালি তরুণ।
বিধ্বস্ত নেপালের জন্য এখন দরকার জাতিসংঘ ঘোষিত আন্তর্জাতিক সাহায্য। দেশটিতে দুর্গত মানুষের জন্য অপরিহার্য ত্রাণসহায়তা পৌঁছে দিতে ৪২ কোটি ৩০ লাখ ডলার সাহায্যের আবেদন জানিয়েছিলো জাতিসংঘ।
তবে এখন পর্যন্ত মাত্র ২২ শতাংশ অর্থ সংগৃহীত হয়েছে।