কাঠমান্ডু থেকে: কমপক্ষে ১৫ দিনের আগে উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় নিহত সকল বাংলাদেশির মরদেহ হস্তান্তর সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছে নেপাল সরকার।
নিহত ৫০ জনের মধ্যে এখন পর্যন্ত ১১ জনের ময়নাতদন্ত হয়েছে। মরদেহ নিয়ে জটিলতায় শুধু বাংলাদেশি স্বজনদের মধ্যেই না, নেপালিদের মধ্যেও অসেন্তাষ আছে।
বেঁচে ফিরবার আর কোন অপেক্ষা নেই। স্বজনদের এখনকার প্রতীক্ষা যদি নিথর দেহগুলো একবার দেখা যায়! সেই আশায় ভীড় বাড়ছে কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দর টিচিং মেডিকেলের মর্গে। বাংলাদেশি স্বজনদের সঙ্গে অপেক্ষায় নিহত নেপালিদের স্বজনরাও।
প্রক্রিয়াগুলো দ্রুত করার জন্য বাংলাদেশের বেসরকারি বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী এ কে এম শাহজাহান কামাল দফায় দফায় বৈঠক করেছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং নেপালের সেনাবাহিনী প্রধানের সঙ্গে।
নেপালের সেনা প্রধান রাজেন্দ্র সেত্রী জানিয়েছেন, যেকোন ধরনের সহযোগিতা করবেন তারা।
দিনভর ব্যস্ত সময় পার করার পর দেশের ফেরার আগে বিমানমন্ত্রী আবার যান টিচিং মেডিকেলের মর্গে।
সেখান থেকে ফিরে তিনি জানান, ৮ জন ছাড়া কাউকেই শনাক্ত করার উপায় নেই। মরদেহ হস্তান্তর প্রক্রিয়ায় কিছুটা সময় লাগবে বলে জানান তিনি।
নেপালের চিকিৎসক দলকে সহায়তার জন্য বাংলাদেশী চিকিৎসকদেরও আনা হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিমানমন্ত্রী শাহজাহান কামাল।
তবে, মরদেহ ফিরে পাওয়ার অপেক্ষার মাঝেও সবার একটি প্রশ্ন: এই দুর্ঘটনায় তদন্তের ফলাফল জানতে কতদিন সময় লাগবে।
বিস্তারিত দেখুন ভিডিও রিপোর্টে: