নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে ১৪০ কিলোমিটার উত্তর পশ্চিমে মিয়াগদি জেলায় ভূমি ধসের ফলে কালিগান্দাকি নদীর প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে। ভূমি ধসে নদীর পানির উচ্চতা ২০০ মিটার(৬’শ ফুট) পর্যন্ত বেড়ে গিয়ে ওই এলাকার বিভিন্ন গ্রামে ভয়াবহ বন্যার হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
মিয়াগদি জেলার বিভিন্ন গ্রামের গ্রামবাসীরা সম্ভাব্য বন্যার আশঙ্কায় রোববার নিরাপদ স্থানে চলে গেছেন।
নেপাল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা লক্ষী প্রসাদ ধাকাল রয়াটার্সকে বলেন, নদীর পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলোর অধিবাসীদের নিরাপদ জায়গায় চলে যেতে বলেছি। এই বন্যা হলে নেপালের অন্যতম একটি বড় হাইড্রোলিক পাওয়ার প্ল্যান্টের অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে।
সামরিক বাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি মোকাবিলায় আগে থেকেই সেখানে প্রস্তুত আছেন। একটি সামরিক হেলিকপ্টার সেনাবাহিনীর বেশ কয়েকজন সদস্যকে নিয়ে সম্পূর্ণ এলাকাটি পর্যবেক্ষণ করছেন। তাৎক্ষনিকভাবে বিপদ সংকেত পাঠানোর জন্য তারা প্রস্তুত আছেন বলেও জানা গেছে।
পুলিশ অফিসার কামাল সিং বাম বলেন, নদীর পানির উচ্চতা খুব দ্রুত গতিতে বাড়ছে। তারা চেষ্টা করছেন যত দ্রুত সম্ভব এই নদীর পানির প্রবাহ যেন আবার শুরু হয় সেই ব্যবস্থা করার।
পুলিশ কর্তৃপক্ষ জানান,এখন পর্যন্ত তারা কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাননি। কিন্তু টেলিফোনে স্থানীয়দের মধ্যে কয়েকজন বলেন, এরই মধ্যে নদীর পানিতে বেশ কয়েকটি ঘর ভেসে গেছে।
গত ২৫ এপ্রিলের ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্পে ও এরপরেও বেশ কয়েক দফার ভূমিকম্পে নেপালের অনেক জায়গায় ভূমিধস হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ভূমিকম্পের ফলেই এই ভূমিধস হয়েছে।