নেপালে ৮১ বছরে সবচেয়ে শক্তিশালী মাত্রার ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় উদ্ধার অভিযান আরো বাড়ানো হয়েছে। এ পর্যন্ত ১৮’শর বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এ দূর্যোগ মোকাবেলায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও সেবা সংস্থা বিধ্বস্ত নেপালকে সাহায্য প্রদান করছে।
আহতদের আর্তনাদে ভারি হয়ে উঠেছে কাঠমান্ডুর হাসপাতালগুলো। পর্যাপ্ত পরিমাণ সেবা সামগ্রী ও ওষুধ সরবরাহ করতে পারছে না কর্তৃপক্ষ। ঘটনার পরপরে ধ্বংসাস্তুপের নিচে আটকে থাকাদের উদ্ধারে উদ্ধারকারীরা খালি হাতেই কাজ শুরু করেছিলেন।
নেপাল সেনাবহিনীর অফিসার সন্তোষ জানান, তাকে ও তার সৈন্যদের কাঠমান্ডুতে ধসে পড়া একটি তিনতলা ভবনের নিচে আটক পড়াদের উদ্ধারে কাস্তে কোদাল দিয়েই সুরঙ্গ তৈরি করতে হচ্ছে। সরু রাস্তা দিয়ে বুলড্রোজার ঢুকছে না। তার ধারণা এখনও অনেকেই ধসে পরা বিল্ডিং এর নিচে জীবিত আছেন।
অন্যদিকে ঘটনার পরে হিমালয় পর্বতের বেইস ক্যাম্পে তুষার ধসে আহতদের উদ্ধারে বেশকিছু হেলিকপ্টার পৌঁছেছে। ভূমিকম্পের পরে তুষার ধসে ১০ জন পর্বতারোহী মারা গেছেন।
কর্তৃপক্ষের আশঙ্কা নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। তারা জীবিতদের উদ্ধার অভিযান চালাতে থাকবে।
নেপালে শনিবার সকাল থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত কমপক্ষে ১৪ বার ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এরমধ্যে সবচেয়ে তীব্র ছিলো দুপুরের দিকে ৭.৯ মাত্রায়। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ প্রতিষ্ঠানের (ইউএসজিএস) তথ্যমতে ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নেপালের পোখারা থেকে ৮০ কিলোমিটার। ওই ঘটনার পর দেশটিতে জরুরী অবস্থা ঘোষণা করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সাহায্য চাওয়া হয়েছে।