কট্টর ধর্মীয় রীতি-নীতির দেশ সৌদি আরব। সেখানে চাইলেই কোনো নারী স্বাধীনভাবে চলতে ফিরতে পারে না। নারীদের সমাজে সবক্ষেত্রে অংশগ্রহণও সীমিত। কিন্তু ইউরোপের দেশগুলোতে বসবাসরত সৌদি নারীদের ক্ষেত্রে বিষয়টা একবারে ভিন্ন রকমই বলা চলে।
ইদানীং সৌদি আরবের সমাজেও দৃষ্টিভঙ্গীর পরিবর্তন হচ্ছে। সেখানে নারীরা ব্যবসা-বাণিজ্যে ভালোই করছে। আরব-ব্রিটিশ চেম্বার অব কর্মাস এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আফসান আল সুহায়বি সম্প্রতি জর্জ ওয়াশিংটন ইউনির্ভাসিটিতে ভাষণ দিতে এসে বলেছেন, পশ্চিমারা যা ধারণা করে তার বিপরীতে শত শত সফল নারী আছে সৌদি সমাজে।
জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের হল ভর্তি দর্শকের সামনে তিনি এ কথাগুলো বলেন।
সুহায়বি বলেন, পশ্চিমাদের গৎবাঁধা চিন্তা-ভাবনা দেখলে আমি মাঝে মাঝে খুব হতাশ হই। তারা ভাবে সৌদি আরবে ভ্রমণের জন্য এখনো প্রধান বাহন উট।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, পশ্চিমাদের অনেকের ধারণা সৌদি আরব থেকে উঠে আসা কেউ সফল হতে পারে না যদি না সে জন্ম থেকে পশ্চিমা দেশগুলোতে না বেড়ে উঠে।
সুহাইবির মতে পশ্চিমাদের এই ধারণাও ভুল। কারণ সৌদি আরব থেকে এসে অনেকেই এখন বেশ সফল হচ্ছে। এ বিষয়ে তিনি একটা পরিসংখ্যানও দেন।
তিনি বলেন, যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে প্রায় ১৫ হাজারের বেশি সৌদি নারী পড়াশুনা করছে। শুধু তাই নয় তারা কর্মক্ষেত্রেও বেশ সফল।
সুহাইবি লিডারশীপ বিষয়ে জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ে দেওয়া ভাষণে বলেন, একজন নেতাকে আগে বেশি করে শুনতে হবে এবং পর্যবেক্ষণ করতে হবে কিছু বলার আগে। আর বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের অভিজ্ঞতার মিথস্ক্রিয়ার মাধ্যমেই একজন মানুষ বেশি শিখতে পারে।
এসময় তার নিজের জীবনে উঠে আসার পিছনে নিজের পরিবারের অবদানকে স্মরণ করেন তিনি।