বৃষ্টিস্নাত এই দিনে সজল চোখে ফুলেল ভালোবাসায় নন্দিত কথাসাহিত্যিক ও নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদকে স্মরণ করেছে বাংলাদেশ। গাজীপুরের নুহাশপল্লীতে প্রিয় লেখকের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন তার পরিবারের সদস্য ও ভক্তরা।
লেখকের প্রতি ভালোবাসা জানাতে বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে নুহাশপল্লীতে জড়ো হন অসংখ্য হুমায়ূনভক্ত। তাদের আশা, স্বশরীরে না থাকলেও তাঁর সৃষ্টিকর্মের মধ্যেই বেঁচে আছেন হুমায়ূন আহমেদ।
পরিবারের হৃদয়ে তো সবসময় আছেনই। তারপরও মায়ের সঙ্গে এসে বাবার কবরের মাটিতেই যেনো বাবার অস্তিত্ব খুঁজে পায় হুমায়ূন-শাওনের সন্তান নিষাদ ও নিনিত।
লেখকের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাবনত হিমুদের ভিড় জমেছে হুমায়ূনের স্মৃতিবিজড়িত নুহাশ পল্লীতে। হিমুর বেশে হুমায়ূনকে শ্রদ্ধা জানাতে আসা একদল ভক্তদের মধ্যে একজন জানান, স্যারের প্রতি ভালোবাসা, স্যারের লেখার প্রতি ভালোবাসা, স্যারের শিল্পকর্ম, সাহিত্য কর্মের প্রতি ভালোবাসা এবং তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই এখানে আসা।
ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ার পর হুমায়ূন আহমেদের স্বপ্ন ছিল দেশে একটি বিশ্বমানের ক্যান্সার হাসপাতাল গড়ে তোলার। তিনি সে ইচ্ছের কথাও জানিয়েছিলেন। তার সেই স্বপ্ন পূরণ করতে না পারার হতাশা ছিলো হুমায়ূনের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওনের কণ্ঠে। শাওন বলেন, আমি খুবই দুঃখিত এবং লজ্জিত যে তিনটা বছর হয়ে গেলো আমরা তার স্বপ্নের কিছু দূরও যেতে পারিনি। তবে হতাশা থাকলেও ক্যান্সার হাসপাতাল গড়ে তোলার চেষ্টার কথা জানান স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন।
নুহাশপল্লীর কর্মীরা বলেন, এখনো হুমায়ূন স্যারের স্মৃতি তাড়া করে ফেরে আমাদের।