নুসরাত জাহান রাফি হত্যাকাণ্ডে পুলিশের কোনো গাফিলতি থাকলে তাকে জবাবদিহি করতে হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন।
বুধবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে লায়ন জেলা ৩১৫ বি/১ বাংলাদেশের ২৩তম বার্ষিক সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন: কেউ আইনের উর্ধ্বে নয়, কেউ বিচারের উর্ধ্বে হয়, নুসরাত হত্যায় কোন পুলিশ কর্মকর্তার গাফিলতি থাকলে তাকে জবাবদিহি করতে হবে। তিনি যে পরিমাণ গাফলতি করেছেন সে পরিমান জবাবদিহি তাকে করতে হবে।
নুসরাত হত্যাকাণ্ডের পর মামলা পিবিআইয়ে (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন) হস্তান্তরের পর এখন পর্যন্ত মামলার এজহারভুক্ত আট আসামিসহ ২১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন: পিবিআই সঠিক তদন্তের মাধ্যমে সঠিক চিত্রটা তুলে ধরেছেন, সবগুলো আসামিকে তারা ধরেছেন। পুলিশ কর্মকর্তার প্রথম থেকে কোনো গাফিলতি ছিল কিনা, আমি যদি যদি এই ভাবে বলি পুলিশরাই কিন্তু তদন্তের মাধ্যমে সমস্ত আসামিকে ধরেছে। কাজেই সফলতা বলুন গাফিলতি বলুন এসব মূল্যায়ন করলে পুলিশ অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে কাজটি করেছে।
মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মচারীসহ অন্তত ৩০ জনের লিখিত সাক্ষ্য নিয়েছে পিবিআই।
সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার কেন্দ্র সচিব মাওলানা নূরুল আফছার ফারুকী, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ হোসাইন, সাবেক পৌর কাউন্সিলর শেখ আবদুল হালিম মামুন, মাদ্রাসার কর্মচারী নুরুল আমিন, নিহত রাফির সহপাঠী নিশাত ও ফুর্তিসহ অন্তত ৩০ জনের কাছ থেকে মৌখিক ও লিখিত সাক্ষ্যগ্রহণ করে পিবিআই।
গত ২৭ মার্চ ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে যৌন নিপীড়নের দায়ে ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পরে ৬ এপ্রিল ওই মাদ্রাসার ছাদে নিয়ে অধ্যক্ষের সহযোগীরা তার শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়। টানা পাঁচদিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা যান নুসরাত জাহান রাফি।
এ ঘটনায় তার বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান বাদী হয়ে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাসহ আটজনের নাম উল্লেখ করে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।