জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ভিসি অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেছেন, কোন ডিগ্রি প্রদানের ক্ষমতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কিংবা প্রশাসনে নেই। পিএইচডি ডিগ্রি প্রদান করেন একাডেমিক কাউন্সিল ও সিন্ডিকেট।
এছাড়া পিএইচডি ডিগ্রি দেয়ার জন্য যে বোর্ড থাকে তারাই সুপারিশ করেন পিএইচডি প্রদানের জন্য। এতে উপাচার্যের কোন এখতিয়ার নেই।
সম্প্রতি কয়েকটি দৈনিক পত্রিকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোস্তফা কামালের পিএইচডি জালিয়াতির সংবাদ প্রকাশের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার বিকেলে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম-কানুন জানেন না এমন মূর্খ সাংবাদিকই পারে এ ধরনের সংবাদ লিখতে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডির নিয়মের ব্যাপারে তিনি বলেন, আমাদের একাডেমিক কাউন্সিলের নিয়ম ছিল ‘যদি কোন বিভাগের শিক্ষক ওই বিভাগেই পিএইচডি করেন তবে তিনি ২ বছর পরেই পিএইচডি জমা দিতে পারবেন। সে নিয়ম অনুসারে দর্শন বিভাগের শিক্ষক হাফিজুল ইসলামকে পিএইচডি প্রদান করা হয় ৩৭তম একাডেমিক কাউন্সিলে।
এর ১ বছর পর একই নিয়মে মোস্তফা কামলকে পিএইচডি ডিগ্রি প্রদান করা হয়। এ নিয়মটি শুধুমাত্র ফ্যাকাল্টি মেম্বারদের জন্যই প্রযোজ্য। তাছাড়া এই নিয়মটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়সহ পৃথিবীর অনেক দেশেই আছে। বর্তমান প্রক্টর মোস্তফা কামালকে পিএইচডি দেয়া হয়েছে ৩৯তম একাডেমিক কাউন্সিলে। সুতরাং তার পিএইচডি যাবতীয় নিয়ম মেনেই দেয়া হয়েছে। তাঁর গবেষণার বিষয় ছিল ‘বিভিন্ন ধর্মে নারীর অধিকার: প্রেক্ষিত বাংলাদেশ’।
বিষয়টি নিয়ে ড. মোস্তফা কামালের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমি ৩১ মে ২০১০ সালে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করি এবং ১৩ মে ২০১৩ তে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করি। আমার চাকরি ছিল ৩ বছরের ১৭ দিন কম। এছাড়া ১টি প্রকাশনার পরিবর্তে আমার ছিল ৩টি প্রকাশনা এবং ২টি প্রথম শ্রেণির পরিবর্তে আমার ছিল ৩টি প্রথম শ্রেণি। আমার যোগ্যতার কোন কমতি ছিল না। এছাড়া আমার একাডেমিক ফলাফল নিয়ে যেসব কথা বলা হচ্ছে তা মনগড়া। এসব করা হয়েছে শুধুমাত্র আমাকে হেয় করার জন্য। তাছাড়া আমি প্রক্টর হওয়ার পর বিভিন্ন অনৈতিক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হওয়ায় একশ্রেণির লোক এটা করেছে।
বিষয়টির সত্যতার ব্যাপারে জানতে চাইলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ইঞ্জিনিয়ার ওহিদুজ্জামান বলেন, মোস্তফা কামালকেকে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে তাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের কোন ব্যত্যয় ঘটেনি। যাবতীয় নিয়ম-কানুন ও আইন মেনেই পিএইচডি ডিগ্রি প্রদান করা হয়েছে তাতে কোন সন্দেহ নেই।