২০১৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি। যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে উত্তাল শাহবাগের প্রজন্ম চত্বর।
জন্মভূমির মুক্তির স্বপ্নকে হৃদয়ে ধারণ করে জেগে উঠেছিলো যে তারুণ্য, তাদেরই একজন আহমেদ রাজীব হায়দার শোভন।
রাতে শাহবাগ থেকে বাসায় ফিরছিলেন তিনি। মিরপুরের পলাশনগরে তার বাসার সামনে ঘাতকেরা নির্মমভাবে হত্যা করে।
গত তিন বছরের আন্দোলনে গণজাগরণ মঞ্চ হারায় তার ২৫ এর অধিক সহযোদ্ধাকে। এদের প্রত্যেকেই যুদ্ধাপরাধী-মৌলবাদী গোষ্ঠীর হাতে নির্মমভাবে খুন হন।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাইতে গিয়ে, মৌলবাদ উৎখাত করতে গিয়ে যারা জীবন দিলেন, তাদের হত্যার বিচারের দাবিতে সোচ্চার তরুণ প্রজন্ম। অথচ ২৫ জনের মধ্যে একজনের হত্যাকারীদের বিচারও ঠিকঠাক হয়নি।
রাজীব হায়দারের খুনিদের মধ্যে দুইজনের সর্বোচ্চ শাস্তির রায় হয়েছে ঠিকই, কিন্তু হত্যার মূল পরিকল্পনাকারীর হয়েছে মাত্র ৫ বছর কারাভোগের সাজা।
গণজাগরণ মঞ্চ তাৎক্ষণিকভাবে এই রায় প্রত্যাখান করেছিল এবং মূল পরিকল্পনাকারীসহ সকল অপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়েছিল।
এরকম প্রেক্ষাপটে আহমেদ রাজীব হায়দার শোভনকে পৈশাচিকভাবে হত্যার তিনবছর পার হবার সময়ে ১৫ ফেব্রুয়ারি, বিগত বছরগুলোর মতোই গণজাগরণ মঞ্চ স্মরণ করবে শহিদ আহমেদ রাজীব হায়দার শোভনসহ আত্মদানকারী সকল সহযোদ্ধাকে।
দিনের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, বিকাল ৫ টায় সমাবেশ ও সন্ধ্যায় রাজীব হায়দারের প্রতিকৃতিতে আলোক প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন।
এ কর্মসূচীতে যোগ দিতে গণজাগরণ মঞ্চের সকল সহযোদ্ধাসহ সর্বস্তরের মুক্তিকামী মানুষকে উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছে গণজাগরণ মঞ্চ।