ভূমধ্যসাগরে ডুবে নির্মমভাবে প্রাণ হারানো শরণার্থী শিশু আয়লানের পরিবার স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য কানাডা যাচ্ছে। কানাডায় পরিবারসহ অভিবাসনের জন্য তার ভাইয়ের আবেদনপত্র কানাডা সরকার গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন আয়লানের ফুপু কানাডা নিবাসী তিমা কুর্দি।
তিমা জানান, কানাডায় অভিবাসনের জন্য তার ভাই মোহাম্মদ কুর্দির আবেদনপত্র গ্রহণ করা হয়। মোহাম্মদের সঙ্গে তার অন্য ভাই আয়লানের বাবা আবদুল্লাহ কুর্দি এবং তার পরিবারও কানাডায় আসবে। তারা ক্রিসমাসের আগেই কানাডা পৌঁছাবে বলে আশা করছেন তিমা।
কানাডার নাগরিকত্ব এবং অভিবাসন বিভাগের মুখপাত্র রেমি ল্যারিভিয়েরে বলেছেন, তার বিভাগ থেকে কুর্দি পরিবারের সঙ্গে শুধু যোগাযোগ করা হয়েছে। ‘তাদের আবেদনপত্র প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তবে আমরা নিশ্চিত করতে পারি এর অগ্রগতি ভালোভাবেই হচ্ছে।’
এর আগে আবেদনপত্র অসম্পূর্ণ থাকার অভিযোগে মোহাম্মদের কানাডায় অভিবাসনের আবেদন বাতিল করে দেওয়া হয়েছিলো। এতে আবদুল্লাহ আইএসের সহিংসতার হাত থেকে মুক্তি নিয়ে কানাডায় স্থায়ী হওয়ার আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন। এ কারণেই পরিবারসহ ছোট্ট ডিঙ্গি নৌকায় করে ইউরোপের উদ্দেশ্যে পাড়ি জমান তিনি।
কানাডিয়ান টিভি চ্যানেল সিবিসি’কে আবদুল্লাহ জানান, ‘আগে আমি সরকারের প্রতি ভীষণ ক্ষুব্ধ ছিলাম। কিন্তু এখন আমার রাগ চলে গেছে।’
গত ২ সেপ্টেম্বর ছোট নৌকায় করে তুরস্ক থেকে গ্রিক দ্বীপ কোসে পরিবারসহ যাওয়ার পথে ৩ বছরের সিরিয়ান শিশু আয়লান কুর্দিসহ ১০জন নৌকা ডুবে মারা যায়। আয়লানের মৃতদেহ তুরস্কের সাগরতীরে ভেসে আসলে তার ছবি তোলেন এক তুর্কি সাংবাদিক, যা সামাজিক মাধ্যমে শরণার্থী সঙ্কট বিষয়ে ঝড় তোলে।