রাজধানীর কুর্মিটোলায় বাসচাপায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের নিহত দুই শিক্ষার্থীর পরিবারের এক সপ্তাহের মধ্যে ৫ লাখ টাকা করে মোট ১০ লাখ টাকা দিতে বাস মালিককে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এছাড়াও ওই ঘটনায় আহত শিক্ষার্থীদের সুচিকিৎসা নিশ্চিতের পাশাপাশি তার খরচও মালিককে দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সাথে নিহতের দুই পরিবারকে কেন দুই কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেছেন আদালত।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজলের করা রিটের শুনানি নিয়ে বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার রুলসহ আদেশ দেন।
হাইকোর্ট তার আদেশে গাড়ির চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স কোন যোগ্যতার ভিত্তিতে দেওয়া হয় এবং সড়কে চলাচলকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিআরটিএ কী পদক্ষেপ নিয়েছে? সে বিষয়ে একটি প্রতিবেদন দাখিল করতে বিআরটিএ’কে নির্দেশ দিয়েছেন।
আর ওই দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করে একটি প্রতিবেদন আগামী ২ মাসের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অ্যাকসিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরিচালকের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর এবিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য ১২ আগস্ট দিন ধার্য করা হয়েছে।
রোববার দুপুরে ঢাকার বিমানবন্দর সড়কে রাজধানীর র্যাডিসন হোটেলের উল্টো দিকে কুর্মিটোলায় ফ্লাইওভারের ঢালে জাবালে নূর পরিবহনের বাসের চাপায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়। নিহতরা হলেন- শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের মানবিক শাখার দ্বাদশ শ্রেণির আবদুল করিম এবং একাদশ শ্রেণির দিয়া খানম। এঘটনায় আহত হন আরও কয়েকজন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য অনুযায়ী একদল শিক্ষার্থী ফ্লাইওভারের গোড়ায় বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। ওই সময় মিরপুরের দিক থেকে আসা জাবালে নূর বাসটি ফ্লাইওভার দিয়ে নামার সময় শিক্ষার্থীদের ওপর উঠিয়ে দেয়।
এ ঘটনায় নিহত এক শিক্ষার্থীর বাবা মামলা দায়ের করেছেন। এরই মধ্যে ওই বাসের ড্রাইভার-হেলপারসহ ৪ জনকে আটক করা হয়েছে।