রাজধানীতে ক্রসফায়ারে নিহত দুই শীর্ষ জঙ্গি উসমান এবং কামাল রাজশাহীতে প্রফেসর রেজাউল করিম হত্যা ও বগুড়ায় শিয়া মসজিদের হত্যাকাণ্ডে নেতৃত্ব দিয়েছিলো বলে দাবি করেছে পুলিশ। ঢাকায় কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট প্রধান বলেছেন, সংখ্যালঘুদের জীবন রক্ষায় সরকারের ব্যর্থতা প্রমাণ করতেই টার্গেট কিলিং করছে জঙ্গিরা।
বিভিন্ন সময়ে গ্রেফতার হওয়া জঙ্গিদের জবানী থেকে উঠে আসে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রেজাউল করিম হত্যা ও দিনাজপুরের কাহারোলে জঙ্গি হামলায় নেতৃত্ব দেয় জয়পুরহাটের জেএমবি নেতা তারেক হোসেন মিলু ওরফে উসমান আর বগুড়ায় শিয়া মসজিদের হামলায় নেতৃত্ব দেয় দিনাজপুরের ভয়ংকর জঙ্গী সুলতান মাহমুদ ওরফে রানা ওরফে কামাল মঙ্গলবার ভোরে ডিবির সঙ্গে বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয় তারা। মিডিয়া সেন্টারে এক ব্রিফিংএ জঙ্গী তৎপরতা নিয়ে কথা বলেন কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট প্রধান মনিরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, জঙ্গিরা অস্ত্র কিনছে, অন্যান্য জঙ্গিদের একটি পূর্বপরিকল্পিত মিশনে পাঠাচ্ছে, তাদের জন্য বাসা ভাড়া করে দিচ্ছে, তাদের খরচ, তাদের পরিবারের খরচ নির্বাহ করে দিচ্ছে। এসব কাজে বিশাল অর্থসহায়তা দরকার। তাদের সেসব দেওয়া হচ্ছে। চাকরির মতো করে টাকা দেওয়া হচ্ছে এসব জঙ্গিদের।
জঙ্গীদের একের পর এক হত্যাকাণ্ডের পেছনে বিশেষ মোটিভ রয়েছে বলেন সিটিটিসি প্রধান। বলেন, এমন হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে জঙ্গিরা দেখাতে চায় যে সরকার সংখ্যালঘু পরিবারগুলোকে রক্ষা করতে পারছে না। এমনকি মুসলিমদের মধ্যেও যেসব ভিন্নমতাবলম্বী রয়েছে। যেমন শিয়া বা আহমাদিয়া, তাদেরও সরকার রক্ষা করতে পারছে না। সরকার ব্যর্থ, সেটাই প্রমাণ করতে চাইছে তারা।
দেশে জঙ্গি তৎপরতার পেছনে জামায়াত শিবিরের সরাসরি হাত রয়েছে জানিয়ে গোয়েন্দারা বলেন চট্রগ্রামে এসপির স্ত্রী হত্যার তদন্তেও সহায়তা করছে সিটিটিসি।