গলায় ছুরিকাঘাতের পর মারা যাওয়া রাইড শেয়ারিং আ্যপের মোটরসাইকেল চালক মিলনের চিকিৎসার বিষয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও জাতীয় হৃদরোগ ইনিস্টিটিউটের পরিচালকের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছেন হাইকোর্ট।
আহত মিলনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনার পর কেন জাতীয় হৃদরোগ ইনিস্টিটিউটে রেফার করতে হল। এবং জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট কী চিকিৎসা দিল এ বিষয়গুলো উল্লেখ করে দুই পরিচালককে তাদের ব্যাখ্যা প্রদিবেদন আকারে দাখিল করতে বলা হয়েছে।
মিলনের চিকিৎসায় ‘অবহেলার’ অভিযোগ তুলে তার পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ চেয়ে করা রিটের শুনানি নিয়ে আজ বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই নির্দেশ দেন।
আদালতে রিট আবেদনকারী আইনজীবী এম. সাইফুদ্দিন খোকন নিজেই শুনানি করেন। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাস গুপ্ত।
পুলিশ ও মিলনের স্বজনেরা গণমাধ্যমকে জানায়, ‘গত ২৫ আগস্ট রাতে মোটর সাইকেল নিয়ে বের হয় মিলন। রাত সোয়া দুইটার দিকে যাত্রী নিয়ে মালিবাগ থেকে শান্তিনগর এর দিকে যাচ্ছিলেন তিনি। উড়ালসড়কে উঠার পর মিলনের গলায় ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয়। ওই অবস্থায় দৌড়ে উড়ালসড়ক দিয়ে নেমে আসেন তিনি।
এ দৃশ্য দেখে দুইজন পথচারী মিলনকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় শান্তিনগর মোড়ের টহল পুলিশের কাছে। এরপর দ্রুত মিলনকে নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে। এরপর মিলনের গলায় অস্ত্রোপচার করে সাতটি সেলাই করা হয়। কিন্তু রক্ত বন্ধ না হওয়ায় এবং অবস্থার আরো অবনতি হলে তাকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়।
প্রায় তিন ঘণ্টা লড়াইয়ের পর সোমবার ভোর পৌনে ছয়টার দিকে মারা যায় মিলন। এরপর ময়নাতদন্তের জন্য মিলনের লাশ শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়।’