ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফার নিষেধাজ্ঞার পরও ইংল্যান্ড ফুটবল দল ‘পপি ফুলে’র প্রতীক নিয়েই মাঠে নামবে বলে জানিয়েছে ফুটবল এ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান গ্রেগ ক্লার্ক।
আগামী সপ্তাহের রিমেমব্র্যান্স সানডে’তে অনুষ্ঠিতব্য ইংল্যান্ড-স্কটল্যান্ডের ম্যাচটিতে ফিফার নির্দেশ মানা হচ্ছে না।
আগামী শুক্রবার ১১ নভেম্বর, আর্মিটিস ডে’তে ২০১৮ বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে দেশ দুটি। ১৯১৮ সালের এই দিনে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের মিত্রশক্তি এবং জার্মানির মধ্যে যুদ্ধবিরতি স্বাক্ষরিত হয়, যার স্মরণে প্রতিবছরই তা পালিত হয়ে আসছে।
ক্লার্ক বলেন, অবশ্যই আমরা পপি (প্রতীক) পড়বো.. এবং এটাই আমাদের পরিকল্পনা। ওয়েম্বলিতে পপি (প্লেয়ারদের জার্সিতে) থাকছে।
রাজনৈতিক কারণে ফুটবল সংশ্লিষ্ট সব কিছু থেকে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধার প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত ‘পপি ফুল’ নিষিদ্ধ করে ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা।
১৯১৮ সালের ১১ নভেম্বর প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর থেকে প্রতি বছর ব্রিটেনসহ কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোতে ওই যুদ্ধে নিহত সৈনিকদের স্মরণে লাল রঙের পপি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। তবে এ নিয়ে বিতর্কও রয়েছে।
আগামী ১১ নভেম্বর ওয়েম্বলিতে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের এক ম্যাচে মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড ও স্কটল্যান্ড। এর আগে একই মাঠে ওয়েলস মুখোমুখি হবে সার্বিয়ার। ওই ম্যাচকে ঘিরে প্লেয়ার্সদের জার্সি ও আর্মব্যান্ডে পপি ফুলের ছাপ দেওয়া ছিল।
ফিফা জানায়, ফুটবল সংশ্লিষ্ট কোনো কিছুতে রাজনৈতিক, ধর্ম ও প্রতীকী কোনো কিছুর ছাপ বা লোগো থাকা যাবে না। ইতিমধ্যে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ফিফা এই নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এখন আন্তর্জাতিক ফুটবলেও এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলো।
অবশ্য ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড ও ওয়েলসের ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন অবশ্য ফিফার কাছে নিষেধাজ্ঞার কারণ জানতে চেয়েছে এবং নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে কি রকমের শাস্তি হবে তাও জানতে চেয়েছে।