কাপ্তাই হ্রদে নিষিদ্ধ সময়ে মাছ ধরার বিরুদ্ধে তৎপরতা শুরু করেছে নৌ পুলিশ।
এছাড়াও করোনা ভাইরাস প্রতিরোধেও নৌ পুলিশ অভিযান পরিচালনা করছে। যে সকল নৌযান সমূহ স্বাস্থবিধি অমান্য করছে তাদের শাস্তির আওতায় আনা হচ্ছে।
সাম্প্রতিক সময়ে কাপ্তাই হ্রদ দিন দিন মৎস্য উৎপাদন ও আহরণের পরিমাণ এবং এর সঙ্গে অর্জিত আয়ের পরিমাণও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
৬৬ প্রজাতির দেশীয় মাছ এবং ৬ প্রজাতির বহিরাগত মাছ রক্ষায় এবছর রাঙ্গামাটি সদর,মাইন্দার মুখ,বালুখালী; বুড়িহাট,কাপ্তাই চেকপোস্ট ও মহালছড়ি চেকপোস্টে নৌ পুলিশের প্রয়োজনীয় সংখ্যক সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।
২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে মাছ উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ১০ হাজার ৫৭৭.৭৬ টন যার আর্থিক মূল্য ছিল সাড়ে ১৩ কোটি টাকা। ২০১৯-২০২০ বছরে ( মে পর্যন্ত) ১২ হাজার ৬৯৪.৮১ টন মৎস্য উৎপাদন হয় যা থেকে অর্জিত অর্থের পরিমাণ ১৬.১৬ কোটি টাকা। সেই অনুপাতে ২০২০-২০২১ বছরের লক্ষ্যমাত্রা ১৫ হাজার ২৩৪ টন, যার মূল্য ১৯.৪০ কোটি টাকা।
নৌ পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মো. আতিকুল ইসলাম ২০২০-২০২১ এর কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য উৎপাদন সম্পর্কে বলেন, ‘নৌ পুলিশ কাপ্তাই লেকে মৎস্য সম্পদ রক্ষায় এবং এর উৎপাদন বৃদ্ধিতে জোর তৎপর এবং নৌ পুলিশ সদস্যের অভিযানিক তৎপরতা এ বছর ১৯,০০০- টন মাছ উৎপাদনে সহায়তা করবে এবং আশা করা যায় প্রায় ২৪ থেকে ২৫ কোটি টাকা অর্জিত হবে । মৎস্য, নদী এবং পরিবেশ রক্ষায় নৌ পুলিশের অভিযান চলবে।’
নৌ পুলিশ সৃষ্টিলগ্ন থেকে মৎস্য ও জলজ সম্পদ রক্ষায় বদ্ধ পরিকর৷ প্রতি বছর মে, জুন, জুলাই এই তিন মাস কাপ্তাই হ্রদে সকল প্রকার মৎস আহরণ,পরিবহন ও বাজারজাত করণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৬ সাল থেকে প্রতি বছর উক্ত তিন মাসে নৌ পুলিশ ও বিএফডিসি, রাঙামাটি যৌথ অভিযান পরিচালনা করে বিপুল পরিমাণ অবৈধ কারেন্ট জাল, জলযান ও বেআইনি ভাবে ধৃত বিভিন্ন প্রজাতির মাছ জব্দ করে যাচ্ছে এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় আনছে।