চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

নিশামের ছক্কার সময় মৃত্যুকোলে ঢলে পড়েন কোচ

ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ডের লর্ডসের বিশ্বকাপ ফাইনালে দম আটকে এসেছিল ক্রিকেট বিশ্বের। টাই হওয়া ম্যাচ যখন সুপার ওভারে গড়াল, তখন থেকে উত্তেজনার পারদ তুঙ্গে। সেটা এতটাই বেশি ছিল যে, উত্তেজনা সইতে না পেরে হৃদপিণ্ডের কাঁপাকাঁপি বেড়ে গিয়েছিল অনেকেরই। সেসময়ই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন কিউই অলরাউন্ডার জিমি নিশামের শৈশব কোচ ডেভিড গর্ডন!

ফাইনালের পাঁচ সপ্তাহ আগেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন নিশামের হাইস্কুল কোচ ডেভিড গর্ডন। হাসপাতালের বিছানায় শুয়েই দেখেছেন শিষ্যের খেলা। নির্ধারিত ৫০ ওভারে দুই দলের রান সমান ২৪১ হওয়ায় ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে। সেখানে প্রথমে ব্যাট করে ইংল্যান্ড রান তোলে ১৫। নিউজিল্যান্ডকে জিততে হলে করতে হতো ১৬।

দলকে জেতাতে মার্টিন গাপটিলের সঙ্গে ব্যাটিংয়ে নামেন নিশাম। সেই সময় থেকেই গর্ডনের শ্বাস-প্রশ্বাস বদলে যেতে থাকে। ওভারের এক পর্যায়ে নিশামের ছক্কা মারার দৃশ্য যখন টিভির পর্দায়, তার কিছুক্ষণের মধ্যেই আস্তে আস্তে ঢলে পড়েন মৃত্যুর কোলে। পিতার মৃত্যুক্ষণ নিয়ে পরে নিজেই বলেছেন গর্ডন-কন্যা লিওনি গর্ডন।

‘সুপার ওভারের সময় একজন নার্স দৌড়ে এসে বললো, বাবার শ্বাস-প্রশ্বাস বদলে যাচ্ছে। আমার মনে হয় নিশাম যখন ছক্কা মারে তখন বাবা তার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার রসবোধ আর ইন্দ্রিয় খুব টনটনে ছিল। তিনি সারাজীবন খুব ব্যক্তিত্বের সঙ্গে জীবনযাপন করেছেন এবং শেষপর্যন্ত তাই করে গেলেন।’

কৈশোর গুরুর এমন বিদায়ে আবেগ সামলাতে পারেননি নিশাম নিজেও। গুরুর প্রতি সম্মান জানিয়ে টুইটারে লিখেছেন, ‘প্রিয় ডেভিড গর্ডন, আপনি ছিলেন আমার শিক্ষক, কোচ এবং বন্ধু। খেলাটার প্রতি আপনার ভালোবাসা ছিল অনেক গভীর। আমরা যারা আপনার অধীনে খেলেছি, তারা ভীষণ সৌভাগ্যবান। ম্যাচের প্রায় শেষপর্যন্ত আপনি দেখে গেছেন। হয়তো আপনি গর্ববোধ করতেন। সবকিছুর জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।’