গোপনীয়তা রক্ষা করে সেপ্টেম্বরের ১ তারিখে প্রেমিক স্যাম বম্বেকে বিয়ে করেন বলিউডের আবেদনময়ী অভিনেত্রী পুনম পান্ডে! যা সোশাল মিডিয়ায় প্রকাশ করেন ১০ সেপ্টেম্বর। আর ২৩ সেপ্টেম্বরেই ‘ডিভোর্স’ নিয়ে ভাবনার কথা গণমাধ্যমে জানালেন ‘নেশা’ খ্যাত এই নায়িকা।
স্বামী স্যামের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ এনে এক সাথে না থাকার কথা ভাবছেন পুনম। টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেয়া সাক্ষাৎকারে পুনম জানিয়েছেন, স্যামের সঙ্গে তার সম্পর্কটা ছিলো বরবারই হিংসায় ভরপুর। ‘বিয়ের পর সব ঠিক হয়ে যাবে’- এমন ধারণা থেকেই নাকি তিনি দ্রুত বিয়ে করেন। কিন্তু বিয়ের তিন সপ্তাহের মাথায় নির্যাতনের শিকার হওয়ার পর জীবন থেকে স্যামকে ত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়ে ভাবছেন পুনম।
বিয়ের পর ভারতের গোয়াতে হানিমুনে গিয়েছিলেন পুনম-স্যাম। সেখানেই দুজনের মধ্যে ঝামেলা হয়। যে ঘটনায় গ্রেপ্তারও হয়েছিলেন স্যাম।
সেই ঘটনার বর্ণনা দিয়ে পুনম সাক্ষাৎকারে আরো বলেন, স্যামের সঙ্গে আমার একটা কথা কাটাকাটি হয়, যা দ্রুতই মারাত্মক আকার নেয় এরপরই ও আমাকে মারতে শুরু করে। আমার গলা টিপে ধরে এবং আমার মনে হচ্ছিল দমবন্ধ হয়ে মারা যাবো। আমার মুখে ঘুসি মারে, চুল ধরে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যায়, এরপর আমার খাটের কোণায় আমার মাথা ঠুকে দেয়। এতেও থামেনি! আমার শরীরের উপর হাঁটু গেড়ে বসে আমার উপর নির্যাতন চালায়।
পুনম বলেন, কোনওরকম ঘর থেকে বেরিয়ে প্রাণে বাঁচেন তিনি। এরপর হোটেল কর্মীরা পুলিশকে ফোন করে এবং পুলিশ এসে স্যামকে মাঝরাতে আটক করে। ‘পশুর মতো’ মারধর করার কারণেই বিয়ে ভাঙার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন বলেও জানান তিনি।
সপ্তাহ দেড়েক আগে স্বামী স্যাম বম্বেকে উদ্দেশ করে পুনম লিখেছিলেন- ‘আগামী সাতটা জন্ম তোমার সঙ্গে কাটাতে চাই’।