দেশের পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে রাজধানীর সংযোগ স্থাপন করা বঙ্গবন্ধু বহুমুখী সেতু নির্মাণ ব্যয়ের চেয়ে বেশি অর্থ টোল থেকে উঠে এলেও ঋণ পরিশোধ হয়নি। তা শোধ হতে সময় লাগবে আরো ১৫ বছর।
জাতীয় সংসদে এ তথ্য জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সেতুর উদ্বোধনের দিন থেকে শুরু করে গত অর্থবছর পর্যন্ত আদায় হওয়া টোলের পরিমাণ ৪ হাজার ৯৮৮ কোটি ৩৭ লাখ টাকা।
সোমবার একাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে সরকারি দলের মো. মামুনুর রশীদ কিরণের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।
কাদের বলেছেন, বঙ্গবন্ধু সেতু চালু হওয়ার পর গত ২২ বছরে টোল আদায় হয়েছে ৪ হাজার ৯৮৮ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। ১৯৯৮ সালে সমাপ্ত এ সেতুর নির্মাণ ব্যয় হয়েছে ৩ হাজার ৭৪৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা। অর্থাৎ, নির্মাণ ব্যয় তুলেও এখন পর্যন্ত লাভ রয়েছে ১২০০ কোটি টাকারও বেশি।
অবশ্য প্রতিবছর সেতুর রক্ষণাবেক্ষণর জন্য বড় একটা অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে সরকারকে। তারপরও কবে নাগাদ সেতু বাবদ ঋণ পরিশোধ সম্ভব হবে? জানতে চাইলে মন্ত্রী জানান, সম্ভব্য সময় ২০৩৪ সাল।
বর্তমান সময়ে হাজার কোটিরও বেশি টাকা লাভে থাকলেও ঋণ পরিশোধে এতো দীর্ঘ সময় কেন লাগবে? জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন: আদায়কৃত অর্থ থেকে সেতুর রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয়সহ সেতু কর্তৃপক্ষের অন্যান্য আনুষঙ্গিক ব্যয় নির্বাহের পর এ সেতু নির্মাণে উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাসমূহের ঋণ পরিশোধ করা হয়ে থাকে।
‘‘তবে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার দ্বিগুণেরও বেশি বেড়ে যাওয়ায় এমুরটাইজেশন সিডিউল অনুযায়ী উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাসমূহ থেকে গৃহীত ঋণ সেতু থেকে আদায়কৃত টোলের মাধ্যমে ২০৩৪ সাল নাগাদ পরিশোধ সম্পন্ন হবে।’’
আইডিএ-এডিবি-জাপানের ওইসিএফ প্রত্যেকে ২২ শতাংশ তহবিল সরবরাহ করে এবং বাকি ৩৪ শতাংশ ব্যয় বহন করে বাংলাদেশ।