‘আমার মেয়ে ন্যায় বিচার পেয়েছে। অনেক উত্থান পতন এসেছিলো, আমরা ধৈর্য্য ধরে ছিলাম, আমি আত্মবিশ্বাসী ছিলাম একদিন ন্যায় বিচার আসবেই।’
প্রায় পাঁচ বছর পর মেয়ে নির্ভয়া ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে দেয়া চার আসামি চূড়ান্ত রায়ে মৃত্যুদণ্ড পাওয়ার পর কথাগুলো বলেছেন নির্ভয়ার মা আশা দেবী।
শুক্রবার ২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর দিল্লিতে চলন্ত বাসে ফিজিওথেরাপির ছাত্রী নির্ভয়াকে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে চার আসামি অক্ষয় ঠাকুর, বিনয় শর্মা, পবন গুপ্ত ও মুকেশকে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট চূড়ান্ত রায়েও মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখে। এই রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ঘটনার শিকার হওয়া নির্ভয়ার মা, বাবা, আইনজীবী, তদন্ত কর্মকর্তাসহ সারাদেশের মানুষ।
ভারতের সুপ্রিমকোর্টের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে নির্ভয়ার বাবা বলেন, ‘এই রায়ে সমগ্র দেশ আজ ন্যায় বিচার পেয়েছে। আমি আজ রাতে শান্তিতে ঘুমাতে পারবো, আমার মেয়েটার আত্মা শান্তি পাবে।মেয়েটা বেঁচে থাকলে ১০ মে তে ২৮ বছরে পা দিতো।আজকের রায় তার জন্য উপহার।’
তিনি বলেন যদিও ন্যায় বিচার পেতে অনেক অপেক্ষা করতে হয়েছে আমি অন্য সকল ধর্ষণের শিকারদের ভাগ্যের কথা চিন্তা করছি।অনেকের বিচার একনো ঝুলে আছে।তাদের বেঁচে খাকতে সুপ্রিম কোর্টের এই রায় অনুপ্রেরণা জোগাবে।
এদিকে এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে দেশটির আইনমন্ত্র্রী রবি শঙ্কর প্রসাদ বলেন, সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের মাধ্যমে আইন এর শাসনের জয় হয়েছে।
২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর রাতে সিনেমা দেখে বন্ধুর সঙ্গে ফেরার সময় চলন্ত বাসে ধর্ষণের শিকার হন ২৩ বছর বয়সী ফিজিওথেরাপির ওই ছাত্রী। ধর্ষণের আগে ছাত্রীর বন্ধুকে পিটিয়ে হাত-পা বেঁধে ফেলে রাখা হয়। পরে তাদের দুজনকেই চলন্ত বাস থেকে ফেলা দেয়া হয়। এর দুই সপ্তাহ পর মারাত্মক আহত ওই ছাত্রী সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
ওই ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় ভারতজুড়ে ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে, ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে আন্দোলন শুরু করে ছাত্র-জনতা। দেশটির বিভন্ন সংবাদমাধ্যম মেয়েটির নাম দেয় নির্ভয়া।