নির্ভয়াকে ধর্ষণের ঘটনায় অপরাধীদের ফাঁসির রায় বহাল রেখেছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। এই মামলায় আগে ৪ জনকে ফাঁসির সাজা দিয়েছিল শীর্ষ আদালত।
সাজাপ্রাপ্ত ৪ জনের মধ্যে তিনজন একটি রিভিউ পিটিশনে তাদের ফাঁসির সাজা বদলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আবেদন জানায়। সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ।
প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র, বিচারপতি আর ভানুমতি এবং বিচারপতি অশোক ভূষণের বেঞ্চে রায় পুনর্বিবেচনার আবেদনের শুনানি হয়।
দোষীদের পক্ষের আইনজীবীরা নতুন কোনও যুক্তিই দিতে পারেননি বলে আবেদন খারিজ করে দেন বিচারপতিরা, আদালত সূত্রে এমনটি জানা যায়। ফলে আপাতত ফাঁসির সাজাই বহাল রাখল শীর্ষ আদালত।
নির্ভয়া ঘটনায় নিম্ন আদালত আগেই চার দোষীর ফাঁসির রায় দিয়েছিলো। এরপর গত বছরের ৫ মে নিম্ন আদালতের ফাঁসির সাজাই বহাল রাখে শীর্ষ আদালত।
দোষীদের মধ্যে মুকেশ (২৯), পবন গুপ্তা (২২), এবং বিনয় শর্মা (২৩) ফাঁসির পরিবর্তে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আবেদন জানিয়ে গত বছরের নভেম্বরে একটি রিভিউ পিটিশন দাখিল করে।
তাদের দাবি ছিল, ‘বিচারের নামে ঠান্ডা মাথায় খুন’ করা হচ্ছে।
সেই রিভিউ পিটিশন গ্রহণ করে সুপ্রিম কোর্টে শুনানি হয় প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে। চতুর্থ দোষী অক্ষয় ঠাকুর (২৩) ফাঁসির সাজা বদলানোর আবেদন জানায়নি।
২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর দিল্লিতে বাসের মধ্যে ২৩ বছরের তরুণীকে ধর্ষণের পাশাপাশি নির্মম অত্যাচার করা হয়। তার বন্ধুকে বাস থেকে ছুড়ে ফেলে দেয় দুষ্কৃতীরা। ১৬ দিন হাসপাতালে চিকিৎসার পর অবশেষে মৃত্যু হয় তার। এই ঘটনার পর দেশ জুড়ে তোলপাড় হয়। রাজধানী দিল্লিসহ গোটা দেশেই প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। এরকম নৃশংস অত্যাচারের পরও হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে ১৬ দিনের লড়াইকে সম্মান জানিয়ে তার নাম হয় ‘নির্ভয়া’।
গণধর্ষণের ঘটনায় মোট ৬ জন দোষী ছিল। বাসের কন্ডাক্টর রাম সিংহ বিচারাধীন অবস্থাতেই জেলের মধ্যে আত্মহত্যা করে। আরেক অভিযুক্তের মাত্র কয়েক দিনের জন্য ১৮ বছর বয়স না হওয়ায় কিশোর আদালতে বিচার হয়। তিন বছর হোমে কাটানোর পর ছাড়াও পেয়ে গিয়েছে সেই নাবালক। বাকি চার জনকে ফাঁসির সাজা দেয় নিম্ন আদালত।