নির্বাচন হওয়া ৩৭ জেলার মধ্যে ১২টিতেই স্বতন্ত্র হিসেবে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। বাকি ২৫টিতে জিতেছে আওয়ামী লীগ। আর আগেই ২২টিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়ে ৫৯ জেলার মধ্যে মোট ৪৭টিতে আওয়ামী লীগ জয়ী হয়েছে। দুটি জেলায় স্থগিত আছে নির্বাচন।
প্রত্যক্ষ নয়, পরোক্ষ নির্বাচন। আগে যারা জনপ্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন তারা এবার জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত করলেন। একইসঙ্গে প্রতিটি জেলা পরিষদে নির্বাচিত হলেন ১৫ জন করে সাধারণ সদস্য এবং ৫ জন করে সংরক্ষিত নারী আসনের প্রতিনিধিরা।
নির্বাচন হওয়া ৩৭ জেলার মধ্যে যে ২৫টিতে আওয়ামী লীগ জিতেছে: কুমিল্লায় আবু তাহের, নোয়াখালীতে ডা. এবিএম জাফরউল্লাহ, চাঁদপুরে ওসমান গণি পাটোয়ারী, লক্ষ্মীপুরে শামসুল ইসলাম, কক্সবাজারে মোস্তাক আহমেদ চৌধুরী, পাবনায় রেজাউল রহিম লাল, চাঁপাইনবাবগঞ্জে মঈন উদ্দিন মণ্ডল, মাগুরায় পঙ্কজ কুমার কুণ্ডু, ঝিনাইদহে কনক কান্তি দাস, বরিশালে মইদুল ইসলাম, পটুয়াখালীতে খান মোশাররফ হোসেন, বরগুনায় দেলোয়ার হোসেন, সিলেটে অ্যাড. লুৎফর রহমান, মৌলভীবাজারে আজিজুর রহমান, নরসিংদীতে অ্যাড. আসাদুজ্জামান, শরীয়তপুরে ছাবেদুর রহমান, মানিকগঞ্জে গোলাম মহিউদ্দিন, রাজবাড়ীতে ফকির আব্দুল জব্বার, মাদারীপুরে মো. মিয়াজ উদ্দিন খান, গোপালগঞ্জে এমদাদুল হক চৌধুরী, রংপুরে অ্যাড. সাথিয়া খানম, লালমনিরহাটে মতিউর রহমান, কুড়িগ্রামে জাফর আলী, ময়মনসিংহে ইউসুফ খান পাঠান এবং জামালপুরে ফারুক আহমেদ চৌধুরী।
১২ জেলায় যে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন: শেরপুরে হুমায়ূন কবীর রুমান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শফিকুল আলম, রাজশাহীতে মো. আলী সরকার, খুলনায় হারুন উর রশিদ, সাতক্ষীরায় নজরুল ইসলাম, মেহেরপুরে হাজী গোলাম রাসূল, চুয়াডাঙ্গায় সেখ সামসুল আবেদীন খোকন, পিরোজপুরে মহিউদ্দিন মহারাজ, সুনামগঞ্জে নূরুল হুদা মুকুট, পঞ্চগড়ে আমানুল্লাহ বাচ্চু, নীলফামারীতে জয়নাল আবেদীন, গাইবান্ধায় আতাউর রহমান এবং নড়াইলে মো. সোহরাব হোসেন।
আলাদা আইন থাকায় ৬৪ জেলার মধ্যে তিন পার্বত্য জেলায় নির্বাচন হয়নি, আর বগুড়া এবং কুষ্টিয়ায় স্থগিত আছে নির্বাচন।