দেশ এবং জনগণের স্বার্থে কোনো আজুহাতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে নির্বাচন থেকে সরে না দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
সোমবার সকালে ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান জানান।
কাদের বলেন: আমরা কোনোভাবেই একতরফা পরিস্থিতি সৃষ্টি করে নির্বাচনে লড়াই করতে চাই না। ওয়ান সাইডেড গেম হোক ওয়ান সাইডেড ম্যাচ হোক সেটা আমরা চাই না।
‘‘ডেমোক্রেসি হচ্ছে দুই চাকার বাইসাইকেল। এখানে অপজিশন হবে সেটা পিপল ডিসাইড করবে। আমরা ফাঁকা মাঠে গোল দেব এমন ইচ্ছা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পোষণ করেন না। আমি আপনাদের (সাংবাদিক) মাধ্যমে প্রতিপক্ষ দলগুলোকে এবং দেশবাসীকে এ বিষয়ে আশ্বস্ত করতে চাই।’’
নিজের দায়িত্বশীল জায়গা থেকেই আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন: একটি রাজনৈতিক দলের দায়িত্বশীল পদে থেকে আমি একটা কথা বললাম, ২৩-২৪ দিন পরে সেটা থাকলো না! সেটা তো হয় না, দেশবাসী এটা মনে রাখবে।
‘‘ফাঁকা বুলি-ফাঁকা প্রতিশ্রুতি দিতে চায় না। যা সত্য তাই বলছি। আমরা চাই সবাই নির্বাচনে লড়বে এবং নির্বাচন একটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখবে। ঐক্যফ্রন্ট এবং ২০ দলীয় জোটের পক্ষ থেকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর যে হুমকি দেওয়া হচ্ছে, দেশ ও জনগণের স্বার্থে সেখান থেকে তারা সরে আসবেন ।’’
২০ দলীয় জোটের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে কর্নেল অলি আহমেদ অভিযোগ করেছেন, তাদের প্রায় ৮০ জন প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। সরকারের জয় লাভের পথে এগিয়ে রাখার জন্য এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছে। যদি এমনটা থাকে শেষ পর্যন্ত তারা নির্বাচনের মাঠে থাকা হবে না।
এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কাদের বলছেন: অলি আহমেদ সাহেবের সঙ্গে সম্ভবত গতকালই আমার মোবাইলে কথা হয়েছে।তিনি প্রশাসনিকভাবে লেভেল প্লেইং ফিল্ড এর ব্যাপারে কিছু কিছু সমস্যার কথা তুলে ধরেছিলেন। আমি তখনই তাকে বলেছি, দেখুন এখন তো পুলিশ প্রশাসন নির্বাচন কমিশনের অধীনে। তারপরও বর্তমান সরকারের একজন মন্ত্রী হিসাবে রুলিং পার্টি জেনারেল সেক্রেটারি হিসেবে আমি চেষ্টা করব কোনোভাবেই যেন আপনার এলাকায় লেবেল প্লেইং ফিল্ড ক্ষুন্ন না হয়।
আমি এ ব্যাপারে কথা বলেছি। আমরা যেহেতু সরকারে আছি নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা করতে হবে। আমি সেখানে প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছি, বলে শেষ করেন কাদের।