বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী নয়া পল্টনে বিএনপি অফিসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে বলেছেন, সহিংস নির্বাচনের মাধ্যমে সরকারের একতরফা নির্বাচনের যে ইচ্ছা, তারই প্রতিফলন ঘটেছে ২ ঘণ্টা ভোট গ্রহণে। বিএনপি প্রার্থীদের গুলি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আওয়ামী লীগের সঙ্গে মিশে গেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
সারাদেশে ২০ শতাংশ ভোটকেন্দ্র দখল হয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। মোট ভোটের ৩০ থেকে ৪০ ভাগ রাতেই সরকারপন্থিরা সিল মেরে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেন রিজভী।
কুমিল্লা, চট্রগ্রামসহ শতাধিক ভোট কেন্দ্র দখল করে সিল মারার অভিযোগ করেছেন রুহুল কবির রিজভী। তার অভিযোগ, র্যাব-বিজিবি-পুলিশ আওয়ামী লীগের সঙ্গে একাকার হয়ে গেছে।
রিজভী জানান, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও নোয়াখালী-৫ আসনের ধানের শীষের প্রার্থী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ নিজেই ভোট দিতে পারেননি বলে তাকে ফোন করে জানিয়েছেন। মওদুদের অভিযোগ, তার আসনের বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রের আশপাশে বোমা ফাটানো হচ্ছে। তাই প্রকৃত ভোটাররা ভয়ে ভোট দিতে যেতে সাহস করছেন না।
বিএনপির অভিযোগ, ঢাকা-৪ আসনের বিএনপির প্রার্থী সালাউদ্দিন আহমেদকে ভোট দিতে যাওয়ার সময় গুলি করা হয়েছে। তিনি এখন অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এছাড়াও টাঙ্গাইল-২ আসনে সিমলা ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড এর বিএনপি সভাপতি আব্দুল আজিজকে আওয়ামী লীগ হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। এ পর্যন্ত বিএনপির দু’জন নেতাকে হত্যা করা হয়েছে বলে রিজভী অভিযোগ করেন।
ভোলা-৩ আসনের বিএনপি প্রার্থী মেজর অবসরপ্রাপ্ত হাফিজকেও প্রশাসন থেকে গ্রেপ্তারের হুমকি দিয়ে বাসায় অবস্থান করতে বলা হচ্ছে।
‘শেখ হাসিনার অধীনে যে একটি উৎসবমুখর নির্বাচনে মানুষ ভোট দিতে যাবে, তা আশা করা যায় না,’ বলেন রিজভী, ‘কিন্তু আমরা আন্দোলনের অংশ হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছি এবং শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকব।’
নির্বাচন বর্জনের বিষয়ে কোনো দলীয় সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব।