বিএনপির নেতিবাচক রাজনৈতিক সংস্কৃতির কারণেই ফল ঘোষণার আগেই নির্বাচন কমিশনকে ব্যর্থ বলে মন্তব্য করেছে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ।
কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন এবং সুনামগঞ্জ-২ উপনির্বাচন পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে ধানমণ্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
হানিফ বলেন: এর আগের নির্বাচনের সময়ে বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হলো যে, নির্বাচনে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। অথচ নির্বাচনের মাঠে সেই ধরনের পরিবেশ আমরা কখনো দেখি নাই। বরং একটা উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন হচ্ছে। যেকোনো ফলাফল আমরা মেনে নিতে প্রস্তুত। নির্বাচনে ফলাফল যাই হোক না কেন তা আওয়ামী লীগ মেনে নেবে।
কুমিল্লা ও সুনামগঞ্জে শান্তিপূর্ণ এবং সুষ্ঠু পরিবেশের মধ্যদিয়ে সাধারণ মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে দাবি করে হানিফ বলেন,‘বিএনপি যখন তাদের পরাজয়ের সম্ভাবনা দেখে, তখন আগে থেকেই তারা নানা ধরণের মিথ্যাচার করে নির্বাচনকে একটা বিতর্কের মধ্যে রাখতে চায়। এখানেও ঠিক এ ধরণের চেষ্টা করা হচ্ছে।’
এর আগে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ অভিযোগ করেন: নির্বাচন কমিশন কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে তাদের ওপর অর্পিত সাংবিধানিক ক্ষমতা প্রয়োগ করে সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে ব্যর্থ হয়েছে।
হানিফ বলেন: কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ১০৩টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে মাত্র ২টিতে বিশৃঙ্খলার অভিযোগ উঠেছে। কমিশন ওই দুইটি ভোট কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত করেছে। তাছাড়া, বিশৃঙ্খলার যে অভিযোগ উঠেছে সেগুলো স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণে। এর বাইরে ভোট গ্রহণ শান্তিপূর্ণ ভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিএনপি মেয়র প্রার্থীর উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন,‘তাদের প্রার্থীও ভোট কারচুপির অভিযোগ আনেননি। সকালের দিকে, বিশৃঙ্খলার কিছু অভিযোগ করলেও; পরে সে অবস্থান থেকে সরে এসেছেন।’
হানিফ অভিযোগ করে বলেন, বিএনপি জনগণের ভোটাধিকারের ওপর শ্রদ্ধাশীল নয়। তাই বিতর্কিত মন্তব্য করে রাজনীতির মাঠে টিকে থাকতে চায়।
কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ২ লাখ ৫৫ হাজার ৬৬ ভোটের মধ্যে ৫৮ শতাংশ এবং সুনামগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ৪৬ শতাংশ ভোট জমা পড়েছে বলে জানান হানিফ।