আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন-ইসি’র প্রস্তাবিত রোডম্যাপকে ইতিবাচক বলে মনে করছে বিএনপি। ইভিএম নিয়ে কমিশনের নমনীয় অবস্থান এবং প্রশাসনকে দলীয় প্রভাবমুক্ত করতে ইসির প্রস্তাব ঠিক থাকলে কমিশনের সঙ্গে সংলাপেও যাবে দলটি।
বুধবার দুপুরে বিএনপির মুখপাত্র জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সম্পাদক রহুল কবির রিজভী চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেছেন, নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা ইতিবাচক। বিএনপি এটি নিয়ে ভাবছে। এ বিষয়ে বিচার বিশ্লেষণ শেষে আমরা আমাদের চেয়ারপারসনসহ অন্যান্য নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে আলোচনা শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানাব। তবে রোডম্যাপ ঘোষণা অবশ্যই ইতিবাচক।
তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচনমুখী দল। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বিএনপি অবশ্যই নির্বাচনে যাবে। তবে তার জন্য নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা আর একটি সহায়ক সরকার প্রয়োজন পড়বে।
নির্বাচন কমিশন যদি আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপির সাথে সংলাপে বসতে চায় সেক্ষেত্রে দলীয় ফোরামে বসে আলোচনা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের পর কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলো বিএনপি। এছাড়া নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার প্রতি আনাস্থা জ্ঞাপনও করেছিলো।
দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছিলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার কাজের উপরই নির্ভর করছে বিএনপির ভবিষ্যৎ পদক্ষেপ। অর্থাৎ তিনি সিইসির কার্যক্রম পর্যবেক্ষণের কথা বলেছিলেন। কয়েক মাস পরে এসে বিএনপি তার কঠোর অবস্থান থেকে অনেকটাই সরে আসছে।
সব রাজনৈতিক দল রাজি না হলে নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা হবে না ইসির এমন ঘোষণাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে বিএনপি। যদিও সরকার পক্ষ ইভিএম ব্যবহারে খুবই আগ্রহী।
আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু করতে বিএনপি ইসিকে সব ধরনের সহায়তা দিতে তৈরি আছে বলেও জানিয়েছে দলটি।
সোমবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার আগামী জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করেন। ২০১৮ সালের ২৮ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার একাদশ জাতীয় নির্বাচনের প্রাথমিক তারিখ রাখা হয়েছে। ৪৫ দিন হাতে রেখে আগামী ১৫ নভেম্বরের মধ্যে তফসিল দেওয়া হবে।
এর আগে নির্বাচন কমিশন সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক দল, সাংবাদিক ও এনজিওদের সঙ্গে সংলাপ, ৩০০ সংসদীয় আসন সীমানা নির্ধারণ, নতুন দলের নিবন্ধন এবং ডিভিএম- ইভিএম প্রস্তুত করার কাজ করবে।