আগামী অক্টোবরে নির্বাচনকালীন সরকার হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু বিষয়ক মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বলেন, নির্বাচনকালীন সরকারে কোনো টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী থাকবেন না।
এছাড়াও অক্টোবরের মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত হবে বলে জানান তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সংসদ অধিবেশন আরও একটা কেন, তার চেয়েও বেশি হতে পারে। সামনের মাসেও হতে পারে, তারও পরে হতে পারে। আওয়ামী লীগ অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে সুশৃঙ্খল। তবে নির্বাচন আসলে অসুস্থ প্রতিযোগিতা হতে পারে বলে সবাইকে সতর্ক করা আছে।
‘অন্তর্কলহ আছে, আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। কারো কারো ক্ষেত্রে ব্যবস্থাও অব্যাহত আছে। যাদের কারণ দর্শাতে বলেছি, তাদের কারণ জানাতে হবে।’
কেন্দ্রীয়ভাবে কাউকে এখনো মনোনীত করা হয়নি জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্যরা অগ্রাধিকার পাবে। ‘দুর্বলদের সবল হতে বলা হচ্ছে। যারা নিজ দায়িত্বে মনোনীত করছেন, খোঁজ নেবো। নবীনরা জনপ্রিয়তায় এগিয়ে থাকলে অগ্রাধিকার পাবে। মূলত গ্রহণযোগ্যতাই প্রাধান্য পাবে,’ বলেন তিনি।
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে কাদের বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে কোথায় চিকিৎসা করাবো তা বড় নয়, সুচিকিৎসাই বড় কথা। আসলে বিএনপি এটাকে পুঁজি করে রাজনীতি করছে। তাদের নিজেদের একতা নেই, জনসমর্থন নেই। কীভাবে কী করবে তারা? আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে জাতীয় ঐক্য তারা কীভাবে করবে? আসলে তাদের ঐক্য জাতীয়তাবাদী সাম্প্রদায়িক ঐক্য।’
এবারের নির্বাচনকালীন সরকারে জাতীয় পার্টি তাদের সংখ্যা বাড়াতে আবেদন করেছে বলে জানিয়েছেন ওবায়দুল কাদের। তবে কলেবর গত নির্বাচনকালীন সরকারের মতো হবে বলে জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ‘জাতীয় পার্টি নিজেরাই বলেছে তারা কীভাবে নির্বাচন করবে। সব নির্ভর করছে মেরুকরণের ওপর। আমরা আমাদের প্রার্থী ঠিক করব তফসিলের পর। তবে শরিকদের আসন দেবো ৬৫-৭০টি।’
নির্বাচনে কোনো কূটনৈতিক প্রয়াস হবে না বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি। কেননা তাতে সার্বভৌমত্বের প্রশ্ন রয়েছে।