চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

নির্বাচকদের কাজ চোখে দেখা যায় না: ফারুক আহমেদ

মাসব্যাপী ক্রিকেট সিরিজ শেষ হয়েছে আগের দিন। দেশে ফিরে গেছে পাকিস্তান। মিরপুরের হোম অফ ক্রিকেটও ফিরে গেছে তার খাঁ খাঁ চেহারায়। মাঝ মাঠের পিচে পানি ঢালছিলেন ক’জন গ্রাউন্ডসম্যান আর দায়িত্বরত ক’জন নিরাপত্তা কর্মী। এক কথায় সোমবার দুপুরে শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের চেহারাটা এমনই ছিল।

প্রায় সব কর্মকর্তাদের রুমই অন্ধকার। তবে বাতি জ্বলছিলো প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদের রুমে। উঁকি ঝুঁকি মেরে নিশ্চিত হওয়া গেলো রুমে উপস্থিত আছেন ক্রিকেট বোর্ডের তিন নির্বাচকই। ফারুক আহমেদের সঙ্গে উপস্থিত হাবিবুল বাশার সুমনও।

ফারুক আহমেদ জানালেন মিটিং চলছে। কিছুক্ষণ পর সময় দেবেন, মিটিংয়ের বিষয়বস্তু নিয়ে কথাও বলবেন। প্রায় আধা ঘন্টা পর বেরিয়ে আসলেন হাবিবুল বাশার সুমন। আনঅফিশিয়ালি প্রশ্ন শুনে হেসে হেসে উত্তর দিলেন। বললেন, একটা সিরিজ শেষ হলে অনেকেই বেকার হয়ে পড়েন, তবে আমরা কিন্তু বেকার না, রীতিমতো অফিস করছি।

কিছুক্ষণ পর মিনহাজুল আবেদীন নান্নু গেলেন অজু করতে। সেই ফাঁকে পাওয়া গেলো ফারুক আহমেদকে। তার কাছে প্রশ্ন ছিলো, মাত্র সিরিজ শেষ হলো কি এত কাজ?

প্রথমেই ফারুক বলেন, নির্বাচকদের কাজ কখনো চোখে দেখা যায় না। মাঠে ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্সে তা প্রকাশ পায়। তো সব মিলিয়ে দারুণ একটা সফল সিরিজ শেষ করলাম আমরা। সামনে নতুন অ্যাসাইনমেন্ট। এসব নিয়েই বসা।

তার কাছে প্রশ্ন ছিলো পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের শেষটা এমন না হলে আরও সফল কি বলা যেত না।

ফারুক আহমেদের উত্তর, হ্যা তাতো অবশ্যই। টেষ্ট ক্রিকেটে সব সময়ই পেস বোলিংয়ে আমাদের একটা ঘাটতি ছিলো। আর প্রথম দিনের শুরুতেই শাহাদাত হোসেনের ইনজুরি সেটাকে আরও বড় করে তুলে। এটা দুর্ভাগ্য ছাড়া আর কিছুই না। তবে অনেকে অনেক কথা বললেও আমরা মনে করি শেষ টেষ্টে আমরা বেস্ট পসিবল টিমটাই খেলিয়েছি।

ভারতের বিপক্ষে সিরিজের আগে একটা বিসিএল ম্যাচও রয়েছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের ওই ম্যাচে যে কেউ ভালো ক্রিকেট উপহার দিলে সুযোগ আসতে পারে তারাও। এমনটাই জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচক।