একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন জাতির সঙ্গে নিষ্ঠুর উপহাস (মকারি) মন্তব্য করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নির্বাচনের ফল বাতিল ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে পুনরায় নির্বাচন চায় ঐক্যফ্রন্ট।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার কাছে স্মারকলিপি জমা দিয়ে বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, এবারের নির্বাচন জাতির সঙ্গে মকারি (উপহাস), ক্রুয়েল মকারি! জাতিকে অন্ধকারের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
নির্বাচনের ফল বাতিল ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে পুনরায় নির্বাচনের দাবিতে ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচন কমিশনে (ইসি) স্মারকলিপি দিয়েছে বলেও তিনি জানান।
ফখরুল জানান, স্মারকলিপিতে ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ, ভোটারদের সঙ্গে প্রতারণা, ভোট জালিয়াতি, সরকারি প্রশাসন তথা রাষ্ট্রযন্ত্রকে নজিরবিহীনভাবে জনগণের বিরুদ্ধে ব্যবহার এবং নির্বাচন কমিশনের সর্বাত্মক পক্ষপাতমূলক কার্যকলাপের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে ধরেছে।
ঐক্যফ্রন্টের দাবি না মানা হলে পরবর্তী কর্মসূচি কী হবে জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন: এটা জানবেন পরে। এই নির্বাচনে এটাই প্রমাণ হলো যে, ২০১৪ সালে নির্বাচন বর্জন করেছিলাম, সেটাই সঠিক। দলীয় সরকারের অধীনে কখনই সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে না। অনতিবলম্বে নির্বাচন বাতিল করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জোর দাবি জানিয়েছি স্মারকলিপিতে।
ইতোমধ্যে নির্বাচনের গেজেট প্রকাশ হয়েছে, শপথও হয়েছে। এ রকম অবস্থায় সরকারের কাছে না গিয়ে ইসিতে কেন আসল ঐক্যফ্রন্ট-এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন: ইসিই তো নির্বাচন করেছে, তাদের কাছে আমাদের দাবি জানালাম। এরপরে আমরা অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
ইসি কী বলেছে এমন প্রশ্নে ফকরুল বলেন: স্মারকলিপি দিতে আসলেও কমিশনের সঙ্গে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কোনো কথা হয়নি। তারা শুধু স্মারকলিপি জমা দিয়েছে। তারা কী বলবে? তাদের তো কোনো কথা নেই।
ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীরা শপথ নেবে কিনা জানতে চাইলে ফখরুল বলেন: শপথের প্রশ্ন আসে কোত্থেকে? আমরা তো ফলাফলই প্রত্যাখ্যান করেছি।
ঐক্যফ্রন্টের প্রতিনিধি দলে বিএনপির একাদশ জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, বাংলাদেশের জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টু উপস্থিত ছিলেন।