নিরীহ মানুষকে হয়রানী না করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বানের পর একই কথা পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে বললেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী।
একইসঙ্গে মাদককে জাতীয় সমস্যা আখ্যায়িত করে মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কোন পুলিশ সদস্যের সখ্যতা থাকলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন তিনি।
বুধবার পুলিশ সপ্তাহ-২০১৯ এর ৩য় দিন রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে ৫১৪ জন পুলিশ সদস্যকে আইজিপি এক্সেমপ্লারি গুড সার্ভিস ব্যাজ পড়ানো শেষে এক বক্তব্যে তিনি এসব কথা জানান।
আইজিপি বলেন, কোন অবস্থাতেই কোন নিরীহ মানুষকে হয়রানি করা যাবেনা। এ বিষয়টি নিশ্চিত করতে কঠোর নজরদারীর আওতায় রাখতে হবে। সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে পুলিশি সেবা পৌঁছে দিতে হবে।
তিনি আরো বলেন, মাদক বর্তমানে একটি জাতীয় সমস্যা। সামাজিকভাবে এর মোকাবেলা করতে হবে। আমরা মাদককে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। ২০১৮ সালে ১ লাখ ১২ হাজার মাদক মামলায় প্রায় দেড় লাখ গ্রেফতার করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে ১ হাজার ৬৩৯ কোটি ৭০ লাখ টাকা মূল্যের মাদকদ্রব্য।
মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে পুলিশ সদস্যদের কোন সখ্যতা থাকতে পারবেনা। এমন প্রমাণ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জঙ্গি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সরকারের শূন্য সহিষ্ণুতার কথা জানিয়ে পুলিশ প্রধান বলেন, পুলিশ দেশের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে নিয়ে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। বর্তমানে দেশ অনেকাংশেই জঙ্গির আগ্রাসন থেকে মুক্ত।
এ সময় আইজিপি ব্যাজ ও পুরস্কারপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, পুরস্কার শুধুমাত্র নামমাত্র উপহার নয়। এটা আপনাদের দক্ষতার স্বীকৃতি। এবারই প্রথম আইজি ব্যাজ প্রাপ্তদের নগদ ২০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। এর আগে ২০১৮ সালে প্রশংসনীয় ও ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবে নির্বাচিত ৫১৪ জন পুলিশ সদস্যকে আইজিপি এক্সেমপ্লারি গুড সার্ভিস ব্যাজ পড়িয়ে দেন আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী।
একই অনুষ্ঠানে ২০১৮ সালে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, মাদক দ্রব্য ও চোরাচালান মালামাল উদ্ধারে সাফল্য অর্জনকারী ইউনিটকে পুরস্কার প্রদান করা হয়।