গ্রীষ্মকালে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুত সরবরাহের জন্য এপ্রিল থেকে সার কারখানায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখলে স্বল্প মেয়াদে সারের চাহিদায় কোন প্রভাব পড়বে না। শিল্প মন্ত্রণালয় বলছে, যে মজুদ আছে তাতে সংকট হওয়ার কারণ নেই।
তবে বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার এসোসিয়েশনের দাবি, দীর্ঘমেয়াদে বন্ধ রাখলে বছরের শেষ দিকে সংকটের আশংকা আছে।
বর্তমানে দেশে ৭টি সার কারখানার মধ্যে ৬টি চালু আছে যাতে সারের মজুদ আছে প্রায় ১১ লাখ মেট্রিক টন। গতবছর এই সময়ে সারের মজুদ আরো চার লাখ মেট্রিক টন কম ছিলো।
দেশে সার কারখানা পরিচালনাকারী সংস্থা বিসিআইসি জানায়, ফেব্রুয়ারী মাসে অর্থাৎ ইরি-বোরো মৌসুমে সবচেয়ে বেশি সার লাগে। ৪ লাখ টন বরাদ্দ রাখা হলেও বিক্রি হয়েছে ৩ লাখ টন।
সারের পর্যাপ্ত মজুদ থাকায় গ্যাসের কারণে সার কারখানা বন্ধ থাকলে সহসা সংকট হওয়ার আশংকা নেই বলছে শিল্প মন্ত্রণালয়।
শিল্প সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, আমরা যদি ৩১ মে মাস পর্যন্ত সবগুলো সার কারখানা চালিয়ে তিন মাস বন্ধ রাখি তাহলে ভয়ের কিছু নেই।
তবে সার ডিলার ও ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার এসোসিয়েশনের দাবি, বতর্মানে পর্যাপ্ত মজুদ থাকলেও আগামী অগ্রহায়ণ পর্যন্ত এ মজুদ দিয়ে চালানো যাবে না। খুব বেশি প্রয়োজন হলে মে থেকে দুমাস সার কারখানায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখার পক্ষে তারা।
বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান কামরুল আশরাফ খান পটন বলেন, ইরি মৌসুম এখনো শেষ হয়নি এটা শেষ হবে এপ্রিলে। কেমিক্যাল ফাক্টরিগুলো ইচ্ছা করলেই বন্ধ করা যায় কিন্তু ইচ্ছা করলেই চার পাঁচ মাস পর চালু করা যায় না এবং সঠিকভাবে প্রোডাকশনে নেয়া যায় না।
বিসিআইসি জানিয়েছে, অন্য চারটি বন্ধ হলেও যমুনা ও নতুন চালু হওয়া শাহজালাল সার কারখানা বন্ধ হবে না যাতে বছরে ৪ লাখ মেট্রিক টন সার উৎপাদন করা সম্ভব।