বহুজাতিক কোম্পানীর আগ্রাসন থেকে মুক্তি দিয়ে তামাকের ন্যায্যমূল্য নির্ধারণ, নিম্নস্তরের সিগারেটের দাম বৃদ্ধি করে বিড়ির মূল্যস্তর কমানোসহ ৬ দফা দাবি জানিয়েছেন বান্দরবানের লামায় তামাক চাষী, ব্যবসায়ী ও শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।
রোববার সংগঠনটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। প্রস্তাবিত ২০২১-২০২২ অর্থবছরের বাজেট প্রতিক্রিয়ায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান সংগঠনের নেতারা।
পরিষদের সভাপতি আবুল বাশারের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আবু।
এতে তিনি বলেন, বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের বেশির ভাগ মানুষ তামাক চাষের সঙ্গে জড়িত। পাহাড়ি অঞ্চল হওয়ায় এখানে অন্য কোনো ফসলের ফলন ভালো হয় না। ফলে তামাক চাষ করে আমরা জীবিকা নির্বাহ করি। এই তামাক ব্যবহার হয়ে থাকে দেশীয় বিড়ি শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে। তাই তামাক চাষী, ব্যবসায়ী ও শ্রমিককেরা বিড়ি শিল্পের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
প্রস্তাবিত বাজেটে বিড়ি শিল্পের উপর শুল্ক বৃদ্ধির প্রস্তাব না করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, অর্থমন্ত্রী ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
আবুল কালাম আবু বলেন, বর্তমান নিম্নস্তর সিগারেটে প্রায় ৭২ শতাংশ বাজার দখল করে আছে, যা বহুজাতিক কোম্পানীর দখলে। কিন্তু প্রস্তাবিত বাজেটে নিম্নস্তরের সিগারেটের উপর শুল্ক বাড়ানো হয়নি। সিগারেটের এই নিম্নস্তরটিতে শুল্ক বাড়ালে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আদায় করতে পারবে। সেই সাথে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের হাজার হাজার তামাক চাষী, ব্যবসায়ীদের ব্যবসা এবং শ্রমিকদের জীবন জীবিকার মান উন্নয়নে সহায়ক হবে।
এছাড়াও তামাক বিক্রয়ের নিশ্চয়তা ও বিড়ির উপর অগ্রিম আয়কর কমানোর দাবি জানিয়েছেন তারা।