জাতীয় দল আর ক্লাব মিলিয়ে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ, অথচ করোনাভাইরাসকে পাত্তা না দিয়ে ৮০০ মানুষের সঙ্গে ভাইয়ের বিয়েতে অংশ নিয়েছেন মোহামেদ সালাহ! বিয়ে শেষে যে ভয়টা পাচ্ছিল সকলে, সেটাই হয়েছে সত্যি। কোভিড টেস্টে পজিটিভ হয়েছেন মিশরীয় ফরোয়ার্ড।
পজিটিভ হয়ে সালাহ জাতীয় দল ও ক্লাব দুইকেই ফেলেছেন বিপদে। ২৮ বছর বয়সী তারকার এমন বোকামিতে ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে ধুয়ে দিয়েছেন মিশরের তারকা সাবেক ফুটবলার মিডো।
আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার বিরতিতে দেশে গিয়ে কায়রোতে ভাইয়ের বিয়েতে অংশ নেন সালাহ। লোকে লোকারণ্য অনুষ্ঠানে কোনো দূরত্ব না মেনে, মাস্ক ছাড়াই নাচতে দেখা গেছে তাকে। এমনকি মিশরীয় রীতি অনুযায়ী বেশকিছু মানুষ চুমুও খেয়েছেন তাকে।
একজন পেশাদার ফুটবলার হিসেবে কীভাবে দেশ আর ক্লাবের কথা না ভেবে, জৈব নিরাপত্তা না মেনে, এভাবে নিজেকে ঝুঁকির মাঝে ফেলে দিলেন সালাহ? সেটা মাথাতেই আসছে না আয়াক্স ও টটেনহ্যামের সাবেক স্ট্রাইকার মিডোর। লিভারপুল তারকাকে সমালোচনায় এক হাত নিয়েছেন সালাহর স্বদেশি এই সাবেক।
‘জানি আমার কথার জন্য পরে অনেক সমালোচনা হবে। তবে আমাকে বলতেই হবে। মিশরের ম্যাচের কয়েকদিন বাকি থাকতে সে ভাইয়ের বিয়েতে অংশ নিয়ে বিশাল ভুল করেছে। করোনাভাইরাস থেকে নিজেকে বাঁচাতে সে গাফিলতি করেছে। যার পরিণামে সে এখন আক্রান্ত।’
‘সালাহর গাফিলতি মিশরকে বাধ্য করেছে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে একজন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়কে ছাড়া খেলতে। সে শুধু নিজের না, সতীর্থদেরও স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ফেলেছে।’
‘তার কোনভাবেই ওই বিয়েতে অংশ নেয়া উচিৎ হয়নি, বিশেষ করে এই সময়ে। বিয়েতে ৮০০ লোক উপস্থিত ছিল, তার অর্ধেকই সালাহকে জড়িয়ে ধরে চুমু খেয়েছে।’
সালাহর সঙ্গে মিশরীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনকেও একহাত নিয়েছেন মিডো। সালাহকে বিয়েতে যেতে নিষেধ না করায় নিজ দেশের ফেডারেশনকে কাপুরুষোচিত বলেছেন।
‘মিশরের কর্মকর্তারা কেউ সালাহকে সরাসরি দোষ দেননি। আমি বলবো তারা সবাই কাপুরুষ এবং তারা সালাহর ভক্তদের ভয় পান। কিন্তু আমি কোনো হিসাব বা ভয় ছাড়া বলবো এবং বলা উচিৎ।’