জয়পুরহাট পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের শিশুকল্যান প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী তৃষার সংগ্রামী পদক্ষেপে ভেস্তে গেল বাল্যবিবাহের অপচেষ্টা। প্রশাসনের সহায়তায় পেল নতুন ঠিকানা।
জানা যায়, জয়পুরহাট শিশু কল্যান প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী তৃষাকে তার মা বাবা ও অন্যান্য আত্মীয় স্বজনরা পরিবারের দারিদ্রতার অজুহাতে গত বুধবার বাল্যবিবাহ দেয়ার অপচেষ্টা করলে মেয়েটি আর দশটি মেয়ের মতো চুপ করে থাকেনি।
অত্যন্ত সাহসিকতার সাথে সকল বাধা অতিক্রম করে সে তার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আইয়ুব আলীর নিকট আশ্রয় নেয়। বিষয়টি জানার সাথে সাথেই স্থানীয় কাউন্সিলর ও সদর থানার মাধ্যমে মেয়েটির নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয় এবং তার পরিবারের সদস্যরা যেন মেয়েটিকে কোনরুপ হেনস্থা না করে তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
মেয়েটির ভবিষ্যত নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে জেলা প্রশাসকের নির্দেশনা মোতাবেক তাকে বৃহস্পতিবার সরকারি শিশু পরিবার নওগাঁতে ভর্তি করানো হয়েছে।
ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী তৃষা জানায়, আমার বাবা মা আমার অনিচ্ছাতেই জোরপূবক বিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলে সে বিষয়টি আমি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে জানাই। স্যারের হস্তক্ষেপেই বাল্যবিয়ের হাত থেকে রক্ষা পাই। আমি লেখাপড়া শিখে নিজের পায়ে দাঁড়াতে চাই।
শিশুকল্যান প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আইয়ুব আলী বলেন, তৃষাকে বাল্য বিয়ের হাত থেকে রক্ষা করতে পেরে নিজেকে খুব হালকা লাগছে। স্থানীয় প্রশাসন আন্তরিকতার সাথে সহযোগিতা করেছে।
জেলা প্রশাসক মো.শরিফুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি জানার পরপরই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যেই তাকে সরকারি শিশু পরিবার, নওগাঁতে ভর্তি করানো হয়েছে। নতুন ঠিকানায় মেয়েটি খুজে পাক তার স্বপ্ন পুরনের আশ্রয়স্থল।