চিত্রপরিচালক মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ পরিচালিত ‘যদি একদিন’ ছবিতে অভিনয় করছেন এক পরিবারের তিনজন। তারা প্রকৃতই সম্পর্কে বাবা, মা ও মেয়ে। এ কারণে ছবিতে নিজের বাবা-মাকে ‘আঙ্কেল-আন্টি’ বলে ডাকতে হয়েছে নাজিবাকে।
বাস্তব জীবনে মাসুম বাশার নাজিবার বাবা এবং মিলি বাশার তার মা।
মজার ব্যাপার হচ্ছে, এই সিনেমায় নাজিবার বাবা-মা অভিনয় করেছেন স্বামী-স্ত্রীর চরিত্রে। তবে তাদের মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করছেন শ্রাবন্তী। আর নাজিবা অভিনয় করছেন শ্রাবন্তী বন্ধুর চরিত্রে।
সেজন্য ছবিতে নিজের বাবা-মাকে ‘আঙ্কেল-আন্টি’ বলে ডাকতে হচ্ছে নাজিবাকে। চ্যানেল আই অনলাইনকে নাজিবা বাশার বলেন, বাবা-মায়ের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করলে কলিগ মনে হয়। তারা শুটিং সেটে থাকলে ভালো লাগে। পরস্পরকে সাপোর্ট দিতে পারি। আমি ভুল করলে বাবা-মা আমাকে বুঝিয়ে দেন। আবার তাদের কাজের ভালো-মন্দ দিক নিয়ে আমি কথা বলি। আমাদের তিনজনের মধ্যে যোগাযোগ এবং কাজ নিয়ে সিরিয়াসনেসটা অনেক বেশি।
এর আগে বদরুল আনাম সৌদের পরিচালনায় ‘পিঞ্জর’ নাটকে বাবাকে শ্বশুর হিসেবে ডাকতে হয়েছিল, ‘অন্তর যাত্রা’ নাটকে মাকে ফুফু বলে ডাকতে হয়েছিল নাজিবাকে।
অভিনয় করতে গিয়ে নিজের বাবা-মাকে অন্য সম্পর্ক সম্বোধন করতে অসুবিধা হয় না?
জবাবে নাজিবা বলেন, ‘বাবা-মার সঙ্গে অভিনয় করতে আমার কখনই সমস্যা হয় না। যখন শুটিং সেটে যাই এবং ক্যামেরা অন থাকে, তখন আমার মাথায় কোনো সম্পর্ক থাকে না। তখন আমার মাথায় খালি অভিনয়ই থাকে।’
‘নুরু মিয়া ও তার বিউটি ড্রাইভার’ ছবিতে প্রথম অভিনয় করেন নাজিবা বাশার। ‘গহীন বালুচর’ ছবিতেও দেখা গেছে তাকে।
এছাড়াও ‘বেঙ্গল বিউটি’ এবং ‘রূপসা নদীর বাঁকে’ নামের আরো দুই ছবি রয়েছে তার হাতে। ‘যদি একদিন’ ছবিতে নাজিবা অভিনয় করছেন শ্রাবন্তীর বেস্ট ফ্রেন্ডের চরিত্রে।
নাজিবা বলেন, শ্রাবন্তীর চরিত্রের নাম অরিত্রি। আমার চরিত্রের নাম আদ্রি। ছবিতে দেখা যাবে শ্রাবন্তীর জীবনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের সঙ্গে আমি জড়িত। তাকে আমি বিভিন্ন ভালো-মন্দ উপদেশ দেই। ৩ দিন শুটিং করেছি। বাকি কাজ আগামীতে।
ছবি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘যদি একদিন’ ছবির গল্পটা খুবই চমৎকার। আমি বিশ্বাস করি, ছবির বাণিজ্যিক ভ্যালু থাকবে। কারণ, ছবিতে ইমোশন তুলে ধরা হচ্ছে। প্রতিটি শ্রেণির মানুষের কাছে যেটি ভালো লাগবে।’
নাজিবা বলেন, চরিত্রের গভীরতা রয়েছে। আশা রাখছি, একেবারেই ব্যতিক্রমী একটি ছবি যদি একদিন। ছবিটি সবাই পছন্দ করবেন।
নাজিবার বাবা-মা দুজনেই ছোটপর্দার পরিচিত মুখ। আর নাজিবা বাশার শুধু অভিনেত্রী নয়, নৃত্যশিল্পী ও সংবাদকর্মী হিসেবে কাজ করছেন। দীর্ঘ আট বছর ধরে তিনি সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত।
জানালেন, পাঁচ বছর ধরে সম্পৃক্ত রয়েছেন অভিনয়ে। মূলত ধারাবাহিক নাটক দিয়ে অভিনয় জীবন শুরু করলেও চলচ্চিত্রে নিজেকে ধীরে ধীরে প্রতিষ্ঠিত করছেন।
‘যদি একদিন’ ছবিতে অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করছেন তাহসান খান, কলকাতা শ্রাবন্তী, তাসকিন রহমান প্রমুখ।