ঘরের মাঠে বাংলাদেশের বড় শক্তির জায়গা স্পিন। আর খেলা যখন মিরপুরে, বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয় স্পিন বিষেই নিউজিল্যান্ডকে নীল করার পরিকল্পনা করছে টিম টাইগার্স। ম্যাচের আগে টাইগার ডেরায় দুঃসংবাদ হয়ে এসেছে নাঈম হাসানের চোট। বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে শুরু হবে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট।
সিলেটে ১৫০ রানে কিউই-বধের পর আত্মবিশ্বাসী নাজমুল হোসেন শান্তর দল। আরেকবার টিম সাউদির দলকে হারাতে পারলে বিসিবি থেকে বড় পুরস্কার পাবেন ক্রিকেটাররা, প্রথমবার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ জয়ের উপলক্ষ প্রলেপ দিতে পারে বিশ্বকাপ-ব্যর্থতার গ্লানিতেও।
বাংলাদেশ স্পিন দিয়েই ঘায়েল করতে চাইবে সফরকারীদের। তবে মিরপুর টেস্টের আগেরদিন অনুশীলনে নাঈম চোট পাওয়ায় কম্বিনেশন বদলাতে পারে। এ অফস্পিনারের জায়গায় অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা বাঁহাতি স্পিনার হাসান মুরাদকে দেখা গেলেও অবাক হওয়ার থাকবে না। স্পিনই যে টাইগার দলটির শক্তির উৎস।
ম্যাচের আগেরদিন মিরপুরের আবহাওয়া ছিল গুমোট। মেলেনি রোদের দেখা। দুই দলই অনুশীলন করেছে সকালে। নিজেদের সামর্থ্য আর শক্তির জায়গাতে বিশ্বাস রেখে পরিকল্পনা করছেন টাইগার হেড কোচ চণ্ডিকা হাথুরুসিংহে। ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে এবার অধিনায়ক নন, আসেন হাথুরু নিজেই।
সিরিজ জয়ের হাতছানি নিয়ে ম্যাচে নামতে চলা দলটির প্রতি হাথুরুসিংহের বিশেষ কোনো বার্তা নেই। সিলেটের মতোই লড়াকু বাংলাদেশকে দেখতে চান মিরপুরেও। একই মনোভাব নিয়ে খেলার দিকে জোর দিয়েছেন তিনি।
‘বার্তাটা একই। আমাদের যা আছে তা নিয়ে খেলা, নিজেদের সামর্থ্যটা বোঝা। প্রতিটি সেশনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার চেষ্টা করা। এই দল অভিজ্ঞতার দিক থেকে তরুণ। কিন্তু দক্ষতার দিক থেকে ওরা খুবই ভালো। ওরা সাধারণত যে ধরনের খেলা খেলে, জাতীয় লিগে বা অন্যকোথাও, সেই স্বাধীনতা যদি ওদের দেয়া হয়, তাহলে ওরা ভালো খেলে।’
‘এটা আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেটের কৃতিত্ব, এই দলে সাতজন এনসিএল খেলে এসেছে। ওদের মাঠের এনার্জি পঞ্চম দিনও দারুণ ছিল। এই ছোট ছোট বিষয়ে আমার নজর থাকে। তরুণ দল, তারা তাদের সবটা দিয়েছে। বার্তা হচ্ছে, একই জিনিস আবার করো।’
মিরপুরের উইকেট নিয়ে ম্যাচের আগে ভাবনা-চিন্তা করে লাভ হয় না খুব একটা। কেননা এই মাঠে এতবেশি ম্যাচ হয় তাতে উইকেট অপ্রত্যাশিত আচরণই করে বেশিরভাগ সময়। হাথুরুসিংহে ম্যাচে উইকেটের আচরণ দেখে সেশন বাই সেশন পরিকল্পনা নিয়ে আগাতে চান ঢাকা টেস্টে।
‘আপনারাও জানেন যে মিরপুরের উইকেট মাঝেমধ্যে বুঝে ওঠা কঠিন, এমনকি গোটা দুয়েক সেশন খেলার আগ পর্যন্ত বোঝা যায় না। এতবেশি ব্যস্ততায় থাকতে হয় এই উইকেটকে, আমার মনে হয় না বিশ্ব ক্রিকেটে আর কোনো ভেন্যুতে এত খেলা হয়। আমরা তাই ধারণা করতে পারছি না, কী হবে এখানে। আমরা চেষ্টা করব খুব বেশি পরিবর্তন না করতে।’
টেস্টে বাংলাদেশের ১৯টি জয়ের আটটিই মিরপুরে। তাতে জয় ছাড়া অন্যকিছু ভাবার সুযোগ নেই স্বাগতিকদের। তাইজুল ইসলাম যেভাবে ‘বাঁ-হাতের খেল’ দেখাচ্ছেন স্পিনে, তাতে স্বচ্ছন্দে থেকে ম্যাচে নামতে পারছে বাংলাদেশ। কিউই অধিনায়ক টিম সাউদিও জানেন স্পিনের দ্বৈরথই হতে চলেছে মিরপুরে।
‘নিঃসন্দেহে স্পিনই এখানে বড় প্রভাবক হবে। সিলেটে আমরা যেমন দেখেছি তেমন উইকেটই আশা করতে পারি এখানে।’